বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানব। ভ্রমণ করার জন্য এই স্থানগুলো খুবই সুন্দর। বাংলাদেশে ভ্রমণ করার জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে। তো সুজলা সুফলা শ্যামলা বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটনের স্থান। বাংলাদেশে প্রতিবছর বিপুল শঙ্খক বেশি-বিদেশি পর্যটক বেড়াতে আসে। তো দেরি না করে জানা যাক বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলোর নাম ও জেলা।
সূচিপত্র: বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থান সমূহ
- স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট
- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
- রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ
- মহেরা জমিদার বাড়ি
- রাতারগুল সিসিলেট
- ফয়েজ লেক
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর সাফারি পার্ক
- কক্সবাজার
- মাধবপুর লেক
- খাগড়াছড়ি
- রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ
- মহাস্থানগড়
- তাজিংডং
- মাধবকুণ্ডলী জলপ্রপাত
- সীতাকুণ্ড
- আহসান মঞ্জিল
- বিছানাকান্দি
- পানাম নগর
- ভিন্ন জগৎ রংপুর
- তেতুলিয়া জিরো পয়েন্ট
- রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি
- বাংলার তাজমহল
- খানজাহান আলীর মাজার
- বাংলাদেশের বিমানবাহিনী জাদুঘর
- সুন্দরবন
- পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার
- নুহাস পল্লী
- টেকনাফ
- বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা
- বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর
- সাজেক ভ্যালি
- ছেড়া দ্বীপ
- চিম্বুক পাহাড়
- বান্দরবান
- তাজহাট জমিদার বাড়ি
- লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
- মইনঘাট (মিনি কক্সবাজার)
- চাঁদপুর মোহনা
- মধুটিলা ইকোপার্ক
- খৈয়াছড়া
- সোনারগাঁও
- শালবন বদ্ধ বিহার
- লালবাগ কেল্লা
- মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ
- জাফলং
- সেন্ট মার্টিন
- শ্রীমঙ্গল
- জাতীয় স্মৃতিসৌধ
- টি বাঁধ রাজশাহী
- শহীদ জিয়া শিশু পার্ক
বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে
অবস্থিত। কক্সবাজার জেলা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বঙ্গোপসাগরের উত্তর
পূর্বাংশে অবস্থিত একটি ছোট্ট দ্বীপ। সে দ্বীপের আয়তন অতি সামান্য (মাত্র ৮
কিলোমিটার)। আবার সেন্ট মার্টিন কে নারিকেলের জিনজিরা বলেও ডাকা হয় বললেই চলে।
সিম মাটি বাংলাদেশের সৌন্দর্যময় দ্বীপ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
আরো পড়ুন: মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে কক্সবাজার। বাংলাদেশের পর্যটক
স্থান হিসেবে বলা যায় সে এক নাম্বারে আছে। কারণ কক্সবাজারে জাউবন, বালুর নরম,
বিছানা আর সামনের এই বিশাল সমুদ্র যেকোন মানুষের মনকে নরম করে ফেলে। ছুটিতে
বেড়ানোর মতন জায়গা বলতে গেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর তুলনা হয় না। কারণ
সেখানে সমুদ্রের ঢেউ বালিয়ে নরম বিছানা ঝাউবন আর বিশাল সমুদ্র দেখার ফিলিংসটাই
আলাদা হয়।
বাংলাদেশের কিছু জেলার দর্শনীয় স্থান
রাজশাহী জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান:
- শহীদ কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা
- বাঘা শাহী মসজিদ
- শাহ মখদুম বাবার মাজার
- উঠিয়া রাজবাড়ী
- পদ্মা নদীর পাড়
ঠাকুরগাঁও জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান:
- বাংলা গড়
- জগদল রাজবাড়ি
- জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ
- হরিপুর রাজবাড়ী
- লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য
আরো পড়ুন: ভ্রমণ নিয়ে স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
সিলেট জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান:
- হযরত শাহপরান (রা:) মাজার
- জাফলং
- লাক্কাতুরা চা বাগান
- লালা খাল
- রায়ের গাও হাওড়
বগুড়া জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান:
- মহাস্থানগড় জাদুঘর
- ভোলার বাসর ঘর
- সারিয়াকান্দি পানি বন্দর
- মহাস্থানগড়
- জয় পীরের মাজার
রংপুরের কিছু দর্শনীয় স্থান:
- ভিন্ন জগৎ
- রংপুর চিড়িয়াখানা
- বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র
- নয় গম্বুজ মসজিদ
- ইকোপার্ক রংপুর
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান। যেগুলোতে জীবনে একবার হলেও সবার যাওয়া
উচিত। তো চলুন দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান।
কক্সবাজার:
কক্সবাজার হল বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এক নাম্বার বলে। কক্সবাজারে
দেখার মত অনেক কিছুই আছে যেমন কক্সবাজারে যদি বেড়াইতে যান তাহলে সরাসরি ঝাউবন,
বালুর নরম বিছানা, বিশাল সমুদ্র এগুলো দেখতে পাবেন। আরো রয়েছে সমুদ্রের ঢেউ ও
সমুদ্রের যে গর্জন শোনা যায় সেটা শুনে মনটা ভরে যায়। বাংলাদেশের সেরা ১০ টি
দর্শনীয় স্থানের মধ্যে কক্সবাজারে কোন তুলনাই হয় না।
সুন্দরবন:
সুন্দরবন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উৎস ও বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থান। আমরা যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
দেখতে চাই তাহলে বাংলাদেশের সুন্দরবন ই সেরা। সুন্দরবন বাংলাদেশের খুলনা জেলায়
অবস্থিত। সুন্দরবনে বেড়াইতে গেলে খুলনা শহরে হোটেলে দু একদিন রাত কাটিয়ে টুর
করলে প্রাকৃতির যে সৌন্দর্য সেটা উপভোগ করতে পারবেন ও বনের নানা ধরনের পশু পাখিকে
দেখতে পাবেন। আর বন্য পশুপাখি দেখার মজাটাই তো আলাদা এটা সবাই মানেন।
সাজেক ভ্যালি:
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সাজেক ভ্যালি একটি অন্যতম
দর্শনীয় স্থান বললেই চলে। কিন্তু এখন আফসোস এই কিছুদিন আগে সাজেক ভ্যালির অনেক
জায়গা করে ছাই হয়ে গেছে। তারপরেও সাজেক ভ্যালি আপনার বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি
জেলার বাঘাই উপজেলায় অবস্থিত। আর সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত পর্যটন
স্থান বললেই চলে। রাঙ্গামাটির উত্তরে অবস্থিত এই সাজেক ভ্যালি আর সাজেক ভ্যালিতে
রয়েছে দুইটি পাহাড় । (রুইলুই এবং কংলাক) পাহাড়।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক:
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পর্যটক স্থানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এটা মোটামুটি
বেড়ানোর জন্য খারাপ না ভালই। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি বা শেখ মুজিব
সাফারি পার্ক এটি বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত। বঙ্গবন্ধু
সাফারি পার্কে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি দেখতে পাবেন যেমনটা চিড়িয়াখানাতে থাকে
তেমনটা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কেউ অনেক বন্য পশুপাখি দেখা যায়।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত:
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পর্যটক স্থানের মধ্যে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের
পরের স্থান নিয়ে আছে। আর হ্যাঁ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আরেকটি নাম আছে যেটাকে
আমরা (সাগর কন্যা) বলে জানি। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বেড়ানোর জন্য অস্থির একটা
জায়গা। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াইতে গেলে আপনি ওখানে সাগরের নানান ধরনের মাছ
খেতে পারবেন ও কিনতে পারবেন। আরো আছে লাল কাঁকড়া চর ও সুন্দরবন নামে একটি বন
আছে। যেটা দেখে অস্থির লেভেলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
আরো পড়ুন: চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
নিঝুম দ্বীপ:
নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট দ্বীপ বললেই চলে। যেটি আমাদের বাংলাদেশের
নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত। নিঝুম
দীপ্তি কে ২০০১ সালের ৮ই এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার এই দিকটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে
ঘোষণা করে ও এটাকে পর্যটক স্থান হিসেবে ঘোষণা করে। আরে নিঝুম দ্বীপ একটি ছোট
দ্বীপ কিন্তু দেখতে অনেকটাই সুন্দর।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার:
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পর্যটক স্থানের মধ্যে পাহাড়পুর বৌদ্ধবহার এর নাম
সবাই কমবেশি শুনেছেন। আর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে আপনার বেহুলা লক্ষিন্দারের বাসর
ঘর হয়েছে। যেটাকে আমরা বলি বিয়ের দিন যে রাতটা কাটানো হয় বাসর রাত সেই রাত
কাটিয়েছেন বেহুলা লক্ষিন্দর সেই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে। তাই পাহাড়পুর বৌদ্ধ
বিহার একটি পর্যটক স্থান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ:
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পর্যটক স্থানের মধ্যে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ এটি বেড়ানোর
জন্য অনেকটাই ভালো জায়গা। যে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে একবার গিয়েছে সে পরবর্তীতে
আবার যাওয়ার আশা করে। কারণ মুজিবনগরে রয়েছে ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত, যেখানে
বাংলাদেশ থেকে ভারতের অনেক কিছুই দেখা যায় আর বাংলাদেশ থেকে ভারতের দৃশ্য দেখতে
কে না চায় বলেন। তাই মুজিবনগর যে একবার গিয়েছে সে আবারো যাবার জন্য আশা করে।
মুজিবনগর হল বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম পর্যটক স্থান।
চিম্বুক পাহাড়:
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পর্যটক স্থানের মধ্যে চুম্বক পাহাড় একটি অন্যতম পর্যটক
স্থান। চিম্বুক পাহাড় বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার অবস্থিত। আর এটা বান্দরবান
জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থান করে। আর চিম্বুক
পাহাড়ের উপরে রয়েছে পর্যটকদের জন্য খাবার হোটেল ও থাকার জন্য মানে রাত কাটানোর
জন্য কিছু ভালো হোটেল। আরো আপনি চিম্বুক পাহাড়ের চূড়ায় উঠে প্রকৃতির সৌন্দর্য
উপভোগ করতে পারবেন। আর বর্ষাকালে চিম্বুক পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে মেঘের ভেতরে
মেঘের সাথে কথা বলতে পারবেন যেটা দেখার ফিলিংসটাই আলাদা যে মেঘের ভেতরে দাঁড়িয়ে
মেঘের সাথে কথা বলতে পারছেন।
বুড়িগঙ্গা ইকো পার্ক:
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পর্যটক স্থানের মধ্যে বুড়িগঙ্গা ইকোপার্ক একটি অসাধারণ
ঘোরার মতন জায়গা। বুড়িগঙ্গা ইকোপার্ক বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। যেটা
রাজধানী ঢাকার শ্যামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। আর এই বুড়িগঙ্গা ইকো
পার্কের দৈর্ঘ্য ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার এবং এই ইকোপার্কটি ২০১২ সালে অক্টোবর মাসে
বাংলাদেশের নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ইকো পার্কটির নির্মাণ করেন। আর একটি বুড়িগঙ্গায়
ইকোপার্ক নামে পরিচিতি থাকলেও এটির আরেকটি নাম আছে যেটা শ্যামপুর ইকোপার্ক নামেও
সচরাচর বললেই চলে। কারণ শ্যাম্পু ইকোপার্ক নামে রাজধানীর লোকাল যারা তারাই
চিনে।
বান্দরবান দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বান্দরবান একটি বিখ্যাত একটি
দর্শনের স্থান। আর বান্দরবানে ঘোরাঘুরি করার মতো অনেক জায়গা আছে যেগুলো আপনাদের
আজকে বলবো। তো চলুন বান্দরবানে ঘোড়ার মতন কিছু দর্শনীয় স্থানের সম্পর্কে
আপনাদেরকে বলি।
বান্দরবান:
বান্দরবানের কথা বললে বাংলাদেশের সেরা ১০ টি স্থানের মধ্যে বান্দরবান অনেক সুন্দর
একটি জায়গা। আর বান্দরবান বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের অবস্থিত। যেটা
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশের সেরা
১০ টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বান্দরবান হচ্ছে জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান।
এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার মতন মজা আর কোথাও নেই কারণ যেদিকেই তাকায়
সেদিকেই পাহাড় আর পাহাড় আর এই পাহাড় দেখে মনটা ভরে যায়।
নীলগিরি-থানচি:
নীলগিরি থানচি এটা হল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫০০ থেকে ৪০০০ হাজার ফুট উপরে
অবস্থিত। আর এই নীলগিরি থানচি বাংলাদেশের অন্যতম একটি উঁচু স্থান কিংবা সিংহ। এই
নীলগিরি থানচি স্থানটি নিজে মেঘে ঢেকে থাকার জন্য অনেক মানুষ এই স্থানটিকে
নীলগিরি মেঘের দেশ বলে থাকে। কারণ নীলগিরির এই স্থান থেকে যেদিকেই তাকাবেন সেদিকে
শুধু মেঘ আর মেঘই দেখবেন। কারণ এটা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫০০ থেকে ৪০০০ হাজার
ফুট উপরে অবস্থিত তাই এখানে আপনি যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই শুধু মেঘ আর মেঘই দেখতে
পাবেন।
শৈলপ্রপাত ঝরনা, থানচি:
শৈলপ্রপাত ঝর্ণা এটি থানচি থানায় থেকে অল্প কিছুদূরে অবস্থিত মানে কয়েক
কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই জায়গাটা অনেক ঠান্ডা পড়লেই চলে আর এই প্রচুর পরিমাপ
পাথর দেখা যায়। আর এখানে জলপ্রপাতের বাইরে একটি বাজার রয়েছে যেখানে পর্যটকরা
ঘুরতে গিয়ে ওখানকার নানা ধরনের জিনিস কেনাকাটা করতে পারে। আর এই নীলগিরি ভ্রমন
করতে গেলে আগে আপনি শৈলপ্রপাত ধরনাটি দেখতে পাবেন কারণ এটা আপনার নীলগিরির যাবার
রাস্তাতেই পড়ে।
তিন্দু, থানচি:
বান্দরবান জেলায় বেড়ানোর মতন একটি স্থান হল তিন্দু থানচি। এই তিন্দু থানচি
বাংলাদেশে নায়গ্র নামে পরিচিত আর তিন্দুর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পাহাড়ি নদী
সাঙ্গু। আর তিন্দু হচ্ছে এডভেঞ্চার দের জন্য অন্যতম একটি আকর্ষণীয় স্থান। যেখানে
এডভেঞ্চার রা পর্যটক করতে গেলে সেখানকার কিছু স্মৃতি সেখানকার কিছু স্থান তারা
তুলে ধরতে পারবে। আর তিনদু নদীতে বেড়ানোর জন্য আপনাকে দুই ঘন্টার জন্যে একটি ছোট
নৌকা ভাড়া করতে হবে। আর এই তিন্দু নদী পার হয়ে থানচি যেতে প্রায় দুই ঘন্টা
সময় লাগবে।
স্বর্ণ মন্দির বান্দরবান শহর:
স্বর্ণমন্দির বান্দরবান শহরের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে একটি। যেটা
সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি এবং অন্য মন্দিরের থেকে অনেকটাই আলাদা। আপনি বলতে পারেন
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মধ্য বিহারের মধ্যে এটি একটি মন্দির। যেটি অন্যান্য
মন্দিরের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর হ্যাঁ, এই মন্দির বেড়াতে হলে আপনাকে ২০ টাকা
দিয়ে একটি টিকিট কিনে তারপর আপনি এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। আর এই মন্দিরে
দর্শনার্থীরা প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে।
দর্শনীয় স্থান ঢাকা
বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রাজধানী শহর ঢাকায় অনেক ঘোরাঘুরির
জন্য পর্যটক স্থান রয়েছে। আর ঢাকার মত পর্যটক স্থান আর কোনো জেলাতেই নেই বললেই
চলে। কারণ ঢাকা সিটিটা হইতাছে ভারতের রাজধানী যেমন কলকাতা তেমন বাংলাদেশের
রাজধানীকে আমরা ঢাকা হিসেবে চিনে থাকি। তাই ঢাকার মত পর্যটক স্থান আর কোন জেলাতেই
নেই বললেই চলে। তো চলুন ঢাকার কিছু পর্যটক স্থানের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে
দিই।
আড়া পাড়া জমিদার বাড়ি:
বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আড়া পাড়া জমিদার বাড়ি হচ্ছে
একটি অন্যতম পর্যটক স্থান। আড়া পাড়ার জমিদার বাড়িটি রাজধানীর সাভার উপজেলায়
আড়া পাড়া গ্রামে অবস্থিত। আরেকটা কথা সময়ের স্রোতে ভেসে যাওয়া ইতিহাসের
সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই আড়া পাড়া ব জমিদার বাড়িটি। আর এই আড়া পাড়ার
জমিদার বাড়িটি আরো একটা নামে পরিচিতি আছে যেটা আমারা রাইস শশী নিবাস।
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর:
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বিজয় স্মরণীতে অবস্থিত। যেখানে
আপনি প্রবেশ করতে গেলে আপনাকে টিকিট করে প্রবেশ করতে হবে আর বঙ্গবন্ধু সামরিক
জাদুঘরটি ১৯৯৯ সালে বিজয় সনে জাদুঘর কে স্থানীয়ভাবে স্থানান্তর করার জন্য
বাংলাদেশের সামরিক জাদুঘর নামে পরিচিত স্বীকৃতি প্রদান করে। আর হ্যাঁ এই জাদুঘরের
প্রবেশ টিকিট মূল্য ১০০ টাকা পিস। আর পাঁচ বছর বা তার ছোট বাচ্চাদের কোন প্রবেশ
টিকিট মূল্য প্রয়োজন হয় না। এবং এখানে আরেকটি রুলস আছে বাংলাদেশের বাইরের কোন
পর্যটক যদি আসে তাদের জন্য টিকিট মূল্য ৩০০ টাকা। আবার এশিয়া মহাদেশের বাইরে
থেকে যদি কোন পর্যটক ঘুরতে আসে তাহলে তাদের জন্য টিকিট মূল্য ৫০০ টাকা। আর
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটি আপনার সকাল দশট থেকে একটা পর্যন্ত খোলা থাকে বুধবার ও
শুক্রবার বাদে।
দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ:
বাংলাদেশের সেরা ৫০ টি দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে রাজধানীর দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে
মসজিদটি একটি বিখ্যাত মসজিদ নামে পরিচিত। যেটা আপনার রাজধানীর কেরানীগঞ্জের
দোলেশ্বর ইউনিয়নে অবস্থিত। আর এই দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদটি ১৮৬৮ সালে
দারোগা আমিনুদ্দিন আহমেদ নির্মাণ করেছিলেন আর বর্তমানে এই মসজিদটির বয়স প্রায়
আড়াইশো বছর প্লাস।
ঢাকা গেট:
বাংলাদেশের ৫০ টি সেরা পর্যটক স্থানের মধ্যে ঢাকা গেট এটি হচ্ছে একটি ঘোরাঘুরির
জন্য অনেক সুন্দর একটা জায়গা। যেটা আপনার রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল
চত্বরে এলাকায় অবস্থিত। আর ঢাকা গেটের আরেকটা নাম আছে যেটা আমরা ঐতিহাসিক মীর
জুমলার গেট নামে চিনি। আর হ্যাঁ এই গেটটি অনেক পুরনো একটি গেট। এটি আপনার ১৬৬০
সাল থেকে ১৬৬৩ সাল পর্যন্ত এই গেটটি নির্মাণের কাজ চলেছে এবং ১৬৬৪ সালে এই গেটটি
উদ্বোধন হয়েছে। তারমানে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে এই গেটটির বয়স কত এর জন্যই
বললাম এই গেটটি অনেক পুরনো একটি গেট।
এয়ারফোর্স বেসক্যাম্প:
বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে এয়ার ফোর্স বেস ক্যাম্প এটি একটি
পর্যটক হোটেল নামে পরিচিত। এটা আপনার বাংলাদেশের প্রথম অ্যাডভেঞ্চার একটিভ
ভিত্তিক রিসোর্ট নামে পরিচিত। এটি আপনার রাজধানীর গাজীপুরে যাত্রা শুরু করে এরপর
চট্টগ্রামে ফয়েজ লেক এবং বান্দরবানে রুমা উপজেলায় পাড়া তাদের শাখা চালু
হয়।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প
বাংলাদেশের ৫০ টি সেরা পর্যটন শিল্প এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
বাংলাদেশের পরিচিত ও অপরিচিত অনেক পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান আছে। এরমধ্যে পর্যটকরা
বাংলাদেশের অনেক জায়গা কথা উল্লেখ করেছে যেমন ঐতিহাসিক মসজিদ, চা বাগান, সমুদ্র
সৈকত ও আরো অনেক পর্যটন স্থান সম্পর্কে আলোচনা করেছে। এর মধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম
সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নিয়োগ অনেক আলোচনা করেছে ও কথা বলেছে।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সমস্যা সমূহ হলো বাংলাদেশের যোগাযোগ ও অবকাঠামো
অসুবিধা ছাড়াও চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তার নিয়ম অনেক সমস্যায়
ভুগছেন কারণ বাংলাদেশে সরকার পদত্যাগের পরে অনেক পর্যটকদের থেকে অনেক কিছু ছিনতাই
করে নিতাছে কিংবা জোর করে মারধর করে সবকিছু কেড়ে নিতাছে এর জন্য বাংলাদেশের
অবকাঠার মধ্যে পর্যটকদের এখন অনেক সমস্যা হইতেছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা হল। সুন্দরবন, চিটাগাং, হেল্প টাক্স,
শ্রীমঙ্গল, রাঙ্গামাটি, পাহাড়পুর, সেন্টমার্টিন,
সিলেট, কুয়াকাটা, কক্সবাজার, সুন্দর জায়গার মধ্যে এই জায়গাগুলো হল বাংলাদেশের
সবচেয়ে সেরা দর্শনীয় স্থান নামে পরিচিত তাই বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা
এগুলোকে বুঝায়। আর আমার মতে আমি বলব বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা হল
কক্সবাজার আর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এ দুইটি জায়গা আমার কাছে অস্থির লাগে। কারণ
এই দুই জায়গাতে সমুদ্রের শীতল হাওয়া ও সমুদ্রের যে গর্জন এই দুটো আরো সমুদ্র
পারে বসে সমুদ্র উপভোগ করার মজাটাই আলাদা তাই আমি বলব বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর
জায়গা এই দুইটা জায়গাকে আমার অনেক পছন্দ।
বাংলাদেশের সেরা ২০ টি দর্শনীয় স্থান
বাংলাদেশের সেরা ২০ টি দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে আমার কাছে যেগুলো আমার ভালো লাগে
কিংবা আমার পছন্দ সেগুলো আমি নিচে বলে দিলাম। আপনাদের কার কোনটা পছন্দ কার কেমন
কি আপনাদের বিষয় কিন্তু আমার কাছে এই বিশটা জায়গায় আমার অনেক পছন্দ এবং অনেক
প্রিয় তাই এই বিষটা জায়গার কথা আমি উল্লেখ করে দিলাম।
- রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ
- মহেরা জমিদার বাড়ি
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর সাফারি পার্ক
- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
- স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট
- কক্সবাজার
- সেন্টমার্টিন
- ইকোপার্ক
- গ্রিন ভ্যালি পার্ক
- সাবিনা পার্ক
- সিলেট চা বাগান
- লালনশা মাজার
- রাঙ্গামাটি
- চিটাগাং
- সুন্দরবন
- শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি স্টেডিয়াম
- টি বাদ রাজশাহী
- শহীদ জিয়া শিশু পার্ক রাজশাহী
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
আরো পড়ুন: খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
শেষ কথা:বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থান
প্রিয় পাঠক আজকে আমার এই কনটেন্টে বাংলাদেশের ৫০ টি দর্শনীয় স্থান
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ও সেরা ৫০টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে যেগুলোতে সবচেয়ে
বেশি পর্যটক ঘুরতে যাই সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। আর আমার কাছে যেগুলো ভালো মনে
হয়েছে সেগুলো আমি উল্লেখ করে দিয়েছি। এখন ভ্রমণ নিয়ে অনেক কিছুই তথ্য জানতে
পারবেন আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ভালো লাগলে আপনাদের বন্ধুদের
মাঝে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url