চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহারের নিয়ম কি জানতে চান? কারি পাতা ব্যবহার করে
কিভাবে আপনার চুল লম্বা করা যায় সেটা কি আপনি জানেন? না জানা থাকলে আমার
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কারণ, আজকে এই আর্টিকেলে চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানবো।
আরো জানবো আমরা ত্বকের যত্ন কিভাবে নেই ও কারি পাতা ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কেও
জানবো। তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করি।
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহারের উপকারিতা অনেকি আছে। অনেক আগে থেকেই চুলের যত্ন
নেয়ার জন্য কারি পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু কারি পাতা ব্যবহারে যে উপকারিতা
আমরা এ বিষয়টা অনেকেই জানিনা। তো চলেন আজকে চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কারি পাতা
ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন?
কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনার চুল পাকবে না: আর যাদের এখন থেকে চুল পাকা শুরু
হয়েছে তাড়া পাতা ব্যবহার করুন। অল্প কিছুদিনে পাকা চুল কালো হয়ে যাবে। আর
আপনি কারি পাতার সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে আপনার চুলে ব্যবহার করুন। কারি
পাতার সাথে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে আপনার চুল থাকবে সব সময় কালো ও আপনার
বয়সকে টিকিয়ে রাখবে সাথে চুলের গোড়াও মজবুত হবে।
কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়বে না: এখন চুল পড়াটা এমন হয়ে গেছে
সবারই কমবেশি চুল পড়ে। এই চুল পড়া বন্ধ করতে আপনি কারি পাতা ব্যবহার করুন ও
কারি পাতার সাথে দুধ দিয়ে একটি পিস তৈরি করুন। পেস্ট টি আপনার চুলে ভালো করে
লাগাবেন। চুলে লাগানোর পরে দুই থেকে তিন ঘন্টা পরে চুলটি শ্যাম্পু অথবা সাবান
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনি রেগুলার কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনার চুল
পড়া রোধ হবে ও চুলের গোড়া শক্ত হবে আবার আপনার চুলও পাকবে না।
কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনার চুল চকচকে হবে: কারি পাতায় রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শুষ্ক চুলকে করে তোলে প্রাণবন্ত এবং চকচকে আরো আপনার
চুলকে রক্ষা করে। আপনি কারি পাতা ও দুধ দিয়ে পেস্ট তৈরি করে আপনার চুলে
নিয়মিত লাগালেন আপনার চুল চকচকে হবে।
কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনার মাথায় খুব খুশি হবে ন: কারি পাতাতে রয়েছে
এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল আরো আছে এন্টি ইনফ্লামেটরি যা আপনার
মাথার ত্বককে খুশকি দূর করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ থেকে রক্ষা করে। আরো
আপনার মাথাব্যথা রোধ করতে কারি পাতা ব্যবহারে অনেক সাহায্য করে। কারি পাতা
ব্যবহার করলে আপনার মাথা ব্যথা কম হবে ও কারি পাতা ব্যবহারে আপনার চুলের অনেক
উপকার হয়
কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনার চুল বৃদ্ধি করবে: প্রতিদিন নিয়মিত কারি পাতা
ব্যবহার করলে আপনার মাথায় নতুন চুল গজাবে ও আপনার চুলকে বৃদ্ধি করবে। আপনি
কিছু কারি পাতা রোদে দিয়ে শুকাবেন তারপর গুঁড়ো করে দয়ের সাথে মিশিয়ে
রেগুলার কিছুদিন আপনার মাথায় দিলে আপনার মাথায় নতুন চুল গজানো শুরু
হবে।
কারি পাতা ব্যবহারে আপনার আগা ফাটা চুল গুলো রোধ করবে: আপনার যদি ঘন কালো ও
লম্বা চুল হয় আর সে চলে যদি হাগা ফাটা সমস্যা থাকে তাহলে সেটি দেখতে অনেক
খারাপ লাগে। আপনার চুলের আগা ফাটা বন্ধ করতে কারি পাতা বেটে আপনার চুলের
নিয়মিত লাগান, দেখবেন কিছুদিন পরে আপনার চুল এমনিতেই ঠিক হয়ে গেছে। এভাবে
ব্যবহার করলে কিছুদিন পরে দেখবেন আপনার আঘাতটা বন্ধ হয়ে গেছে।
কারি পাতা ব্যবহারে চুলের গন্ধিকোষ কোষ মজবুত করে ও চুল পাতলা হওয়া রোধ করে:
কারি পাতাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ এমিনো এসিড যা আপনার চুলের কোষগুলোকে
মজবুত করে এবং শক্তিশালী করে তুলে।
আরো কারি পাতাতে রয়েছে বিটা ক্যারেটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস হলো কারি পাতা।
কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনার চুল পাতলা হওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে
তাই নিয়মিত কারি পাতা ব্যবহার করুন আপনার চুল বৃদ্ধি করুন।
কারি পাতা ও টক দই একই সাথে ব্যবহারের নিয়ম
চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কারি পাতা ব্যবহার করতে
পারেন ও তার সাথে টক দই ও ব্যবহার করতে পারেন। কারণ টক দই রয়েছে লেকটিং এসি যা
আপনার চুলকে মজবুত করে ও আপনার চুল দেখতে চকচক করবে। তাই কারি পাতাও টক দই একই
সাথে ব্যবহার করলে আপনার চুল ম্যাজিকের মত চকচক করবে। আর হ্যাঁ কারি পাতা ও টক দই
দিয়ে একটা হেয়ার প্যাক কিভাবে তৈরি করবেন জেনে নিন?
১ থেকে দেড় মুঠো কারি পাতা
দুই থেকে চার পাঁচ চামচ টক দই
এই হেয়ার প্যাকটি কিভাবে ব্যবহার করবেন, চলুন জেনে নেয়া যাক: প্রথমে
আপনি আপনার বাসায় যদি ব্লেন্ডার মেশিন থাকে তাহলে কারি পাতাগুলো গুঁড়ো করে
নিন ও পেস্ট তৈরি করে ফেলুন। এখন এর থেকে দেড় চামচ কারি পাতা সঙ্গে দুই থেকে
চার পাঁচ চামচ টক দই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি পেজ তৈরি করে ফেলুন। এবং এই
পেস্ট আপনার চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
কারি পাতা ও টক দই দিয়ে যে পেস্ট টি তৈরি করলেন এটি আপনি সপ্তাহে একদিন
আপনার মাথায় ভালো করে ব্যবহার করবেন এতে আপনার চুল পড়া রোধ হবে ও আপনার চুল
উজ্জ্বলময়দ ঝকঝক করবে।
চুলের যত্নের জন্য হেয়ার টনিক হিসেবে কারি পাতার তেল ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার অনেকটাই এয়ার টনিক এর মতন কাজ করে। আপনি নারিকেল
তেলের সাথে কারি পাতা মিশিয়ে আপনি একটি হেয়ার টনিক বানিয়ে ফেলতে পারবেন। এই
হেয়ার ট্রনিক টি ব্যবহারের ফলে আপনার চুল গোড়া থেকে শক্ত হবে ও চুলের আর্দ্রতা
দূর হয়ে যাবে আবার আপনার চুলকে গোড়া থেকে শক্ত করতে সাহায্য করবে। আপনি কিভাবে
তৈরি করবেন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নেয়া যাক।
১৫ টি তাজা কারি পাতা
নারিকেলের তেল ৫ থেকে ৭ চামচ
কিভাবে তৈরি করবেন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন
প্রথমে আপনি একটা খোঁড়া বা থালি নিয়ে নিন। এবং খোঁড়া বা থালিতে নারিকেলের
তেল পাচ থেকে সাত চামচ দিন সাথে কারি পাতাগুলো দিন।
কারি পাতা তেলের মধ্যে দিয়ে নাড়াচাড়া করুন যতক্ষণ না কারি পাতার সাইড দিয়ে
কালো বর্ণের মতো দেখা যায়।
এবং পাতার চারপাশ কালো হয়ে গেলে চুলার ওপর থেকে তুলে নিন।
এবার টনিককে ঠান্ডা হয়ে গেলে আপনি শুধুমাত্র তেল গুলো পাতা থেকে ছেঁকে নিন এবং
আপনার মাথায় দিন।
এবং এই তেলটি আপনি কাউকে দিয়ে আপনার মাথায় ভালো করে মাসাজ করে নেন এবং এর
থেকে দেড় ঘণ্টা পরে আপনার চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন।
এই টনিকটি কতদিন ব্যবহার করবেন
আপনি যদি ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে সপ্তাহে তিন থেকে চার বার আপনার মাথায় এই
তেলটি ব্যবহার করুন ও প্রতিবার ব্যবহারের পরে আপনার চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে
শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।
এই টনিকটি ব্যবহারে কি ক্ষতি হতে পারে
এখন আপনার শরীরে যদি কোন ধরনের এলার্জি থেকে থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের থেকে
পরামর্শ নিয়ে কারি পাতার তেল আপনার শরীরে ব্যবহার করবেন। তা না হলে আপনার
শরীরে কারি পাতার রিয়েকশন দিতে পারে। আর নারিকেলের তেল এমনিতেই
অনেক পুষ্টি সম্পন্ন একটি তেল আর নারিকেলের তেলের সাথে আবার যদি কারি পাতা
তেল মিশ্রিত হয় তাহলে নারিকেলের পুষ্টিগুণ ও কারি পাতার পুষ্টিগুণ দুটো
একসঙ্গে হয়ে একটি শক্তিশালী হেয়ার টনিক তৈরি হয়। যা আপনার চুলের নিয়মিত
ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া থেকে মুক্তি পাবেন ও আপনার চুল গোড় থেকে মজবুত
হবে এবং আপনার চুল যদি ঝরে যায় তাহলে ঝরা থেকেও মুক্তি পাবেন। কারি
পাতা ব্যবহার করে কিভাবে আপনার চুল লম্বা করা যায়
কারি পাতা কিভাবে ব্যবহার করে আমাদের চুল লম্বা করা যায় তা আমরা অনেকেই জানিনা।
আর সবারই একটি মনের আশা চুল লম্বা ও ঝলমলে হবে। ঝলমলে চুল ও চুল লম্বা করতে চাইলে
কারি পাতা আমি যে নিয়মটি বলবো এই নিয়মে ব্যবহার করলে আপনার চুল ঝলমলে ও লম্বা
হবে। আর এটি যদি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে প্রাকৃতিক ভাবে আপনার চুল লম্বা
হবে ও গোরা থেকে শক্ত হবে।
চুল পড়া কবো না তো অনেকটাই কমে যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক চুলের যত্নের
জন্য এই নিয়মটি জেনে নেয়া যাক।
আপনি প্রথমে বিট থেকে খোসা ছাড়িয়ে খোসা গুলো টুকরো টুকরো করে ভালো করে কেটে
নিন।
তারপরে কেটে রাখা যে বিটের খোসা গুলো আছে তার সাথে একমুঠো কারি পাতা আমলকী এক
টুকরো আদা এবং পরের মত পানি মিশিয়ে একসাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে একটি পেজ তৈরি
করে নিন।
এবার পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে একটা ঝাকুনি দিয়ে ভালো করে চিপে সে কে নিন। আবার
আপনার যদি ব্লেন্ডার না থাকে তাহলে পাঠাতেও বেটে নিতে পারেন।
পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনার চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন ও এক থেকে দেড়
ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ও শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে
ধুয়ে ফেলুন।
এখন বিক্ষোসা কারিপাতা ও আমলকি নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুলকে গোড়া থেকে শক্ত
করবে ও মজবুত করে তুলবে অন্যদিকে আবার যে আদা ব্যবহার করতেছেন এ আদা ব্যবহারে
আপনার চুল লম্বা হওয়া শুরু করবে
এখন উপরের নিয়মে আপনি যদি কারিপাতা নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার
চুল লম্বা হবে ও প্রাকৃতিকভাবে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে ও আপনার চুলের
গোড়া থেকে নতুন চুল গজানো শুরু করবে।
কারি পাতা ব্যবহার করে কিভাবে আপনার চুল লম্বা করা যায়
কারি পাতা কিভাবে ব্যবহার করলে চুল লম্বা করা যায় তা আমরা অনেকেই জানিনা। আর
একটা কথা চুল লম্বা ও ঘন আর ঝলমলে চুল কে না চায় বলেন তো। আপনি যদি ঘন ও লম্বা
চুল পেতে চান তাহলে কারি পাতা ব্যবহার করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে খোলা আপনার চুল
প্রাকৃতিক ভাবে ঘন ও লম্বা হতে সাহায্য করবে।
আর কারি পাতা ব্যবহারে আপনার চুল পড়াও কমে যাবে। তো চলেন আমি আজকে একটা
আয়ুর্বেদিক বানানো শিখাবো আপনাদেরকে তো দেরি না করে জেনে নি কিভাবে আয়ুর্বেদিক
বানাতে হবে।
আয়ুর্বেদিক টি বানাতে যা যা লাগবে
আমলকি
কারি পাতা
টুকরো আদা
পানি ও
বিটের খোসা
কিভাবে এটা প্রস্তুত করবেন জেনে নিন
আপনি প্রথমে যেটা করবেন বিটের গায়ে থেকে তার খোসাগুলো ফেলে দিবেন দিয়ে
টুকরো টুকরো করে কেটে নিবেন।
এরপর কেটে নেওয়া বিটের সাথে একমুঠো সতেজ তাজা কারি পাতা ,আমলকি ও এক
টুকরো আদা দিয়ে আপনার যদি ব্লেন্ডার থাকে তাহলে গুরু করে নিবেন।
এরপরে তার সাথে একটু পানি মিশ্রণ করে গরুগুলোকে পেস্ট করে নিবেন পেশ করে
নিয়ে আপনার চুলে ভালোমতো লাগাবেন
এবার কাউকে দিয়ে আপনার চুলে ভালো করে পেস্টগুলো মাসাজ করে নিবেন তারপরে
এর থেকে দেড় ঘন্টা চুলটাকে শুকিয়ে নিবেন
তারপরে চুলটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে
ফেলবেন।
ওপরে নিয়ম কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনি অল্প দিনে পেতে পারেন লম্বা চুল ও একটি
নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে লম্বা হবে ও প্রাকৃতিকভাবে সতেজ
হবে
ত্বকের যত্নের জন্য কারি পাতা ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহারে সম্পর্কে আপনারদের বলেছি। এখন কথা হচ্ছে কারি
পাতা শুধু চুলের যত্নের জন্য না কারি পাতা আপনার শরীরের যত্নের জন্য উপকারী।
কারি পাতা সেই প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা
ফেরাতে কারি পাতা খুব উপযোগী একটা পাতা। কারি পাতা হচ্ছে একটি ফেমপ্যাক কারি
পাতা হচ্ছে হলুদের ক্রিম প্যাক। তো চলুন প্যাক কিভাবে তৈরি করবেন এই সম্পর্কে
জেনে নিন।
হলুদ গুঁড়া ৩ চামচ
কারি পাতা ১০ থেকে ১৫ পিস
কিভাবে এটি তৈরি করবেন ও ব্যবহার করবেন
প্রথমে কারি পাতা গুলো ভালো করে ধুয়ে নিন তারপরে তিন চামচ হলুদ গুঁড়া সাথে
ভালো করে মিশিয়ে একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে একটি পেস্ট তৈরি করে
নিন। এটি তৈরি হয়ে গেলে আপনার মুখে লাগিয়ে নিন এবং ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা
করুন। তারপরে মুখটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আর এই পেস্ট আপনি সপ্তাহে ৩
থেকে ৪ দিন ব্যবহার করুন। আশা করা যাচ্ছি তুই ভালো ফল পাবেন।
কারি পাতা ব্যবহারে মুলতানি মাটির প্রেমপেক: কারি পাতা মুলতানি মাটির প্রেম
প্যাড তৈরি করতে আপনি প্রথমে কারি পাতায় একটি পেজ তৈরি করে নিবেন। এরপরে চার
থেকে পাঁচ চামচ মুলতানি মাটি এবং তিন চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ভালো করে দাঁড়িয়ে
একটি পেস্ট বানিয়ে নিবেন। একটি বানানো হয়ে গেলে আপনার মুখে লাগিয়ে নিন অন্তত
১৫ মিনিট রাখবেন পেজটি শুকিয়ে গেলে। মুক্তি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও
একটি সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ব্যবহার করুন।
কারি পাতা ও লেবুর রসের ফেমিকন: কারি পাতা শুধু আপনার ত্বকের রং ফর্সা করেনা
বরংচ আপনার মুখে যদি কোন দাগ কিংবা বরণ থেকে থাকে সেটা কেউ পরিষ্কার করতে কারি
পাতাও লেবুর রসের ফেমিকন অনেক সাহায্য করে। ত্বকের কালো দাগ কিনবা ব্রণ দূর
করতে কারি পাতার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এখন বৃষ্টি
আপনার মুখে লাগিয়ে নিন অন্তত 20 থেকে 25 মিনিট আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন।
তারপরে আপনার মুখটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন এটি আপনি অল্প
কিছুদিন ব্যবহার করুন। অল্প কিছুদিন ব্যবহারের ফলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার
মুখে থেকে ব্রণ কালো দাগ সব মুছে গেছে।
চুলের যত্নে কারি পাতার জল ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতার জল ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন: কারি পাতা জল আপনার চুলের
জন্য অনেক উপকারী। এখন আপনাদের প্রশ্ন হতে পারে যে কারি পাতার জল আবার কি ও
কারি পাতার জল কিভাবে বানাবেন। চলুন আপনাদের শিখিয়ে দেই কারি পাতার জল কিভাবে
তৈরি করবেন বা বানাবেন।
প্রথমে আপনারা এক কাপ থেকে দেড় কাপ মতন পানি নিবেন তারপরে এক থেকে দেড়ের মতো
কারি পাতা নিবেন।
জল -এক কাপ
কারি পাতা -এক মুঠো
কিভাবে এটা তৈরি করবেন ?
প্রথমে আপনি একটা পাত্রে কিছু পানি নিয়ে নেন, তারপরে ওর মধ্যে দেড় থেকে দুই
মোট কারি পাতা দেন দিয়ে চুলার উপরে ওটাকে ফুটিয়ে নিন অল্প কিছুক্ষণ ফুটিয়ে
নেয়ার পরে হয়ে গেল কারি পাতার জল। এবার এটা আপনি কিছুদিন আপনার চুলের স্প্রে
করে ব্যবহার করবেন দেখবেন কিছুদিন পরে ফল পাবেন।
চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কারি পাতার চা তৈরি
চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য কারি পাতার নানা ধরনের ব্যবহার রয়েছে। এখন কারি পাতা
শুনে আপনি নিশ্চয়ই অবাক হবেন না হওয়ার কথা স্বাভাবিক। অবাক হলে কিছু করার নাই
কারণ কারি পাতার তো আপনার চুলকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এখন আপনার চুল কি ঝরে
পড়ে কিংবা আপনার চুলে অনেক খুশি আছে আপনার চুল অল্প বয়সে পেকে যাচ্ছে।
আপনার চুল কি মাথায় থেকে ঝরে পড়ে আপনার মাথায় কি টাক পড়ে যাচ্ছে। যদি আপনার
মাথায় টাক পড়ে যায় তাহলে কারি পাতার চা খেলে আপনার মাথায় টাক পড়বে না আর
আপনার মাথায় কারি পাতার চা খেলে নতুন ভাবে চুল গজাবে। আমি ভাবছেন কারি পাতা
কেমনে তৈরি করব তাই না। চলুন কারি পদার্থটা কেমনে তৈরি করবেন সেটা শিখিয়ে দেই
আপনাদেরকে।
এখন আপনি একটা পাত্র নিয়ে নেবেন পাত্রে কিছু কারি পাতা দিয়ে দিবেন দিয়ে ওটা
জাল করে নিবেন। তারপরে ওটা সে কে নিয়ে তার ভিতরে চিনি দিয়ে দিবেন ব্যাস হয়ে
গেল কারি পাতার চা। এটা আপনি সপ্তাহে সাত দিন খাবেন সাতদিন পরে আপনি বুঝতে
পারবেন কারি পাতার চায়ের ফল কেমন। আর কারি পাতার চা নিয়মিত খেলে আপনার
স্বাস্থ্য ঠিক রাখবে।
আপনি যদি ঘন কালো চুল পেতে চান তাহলে আপনার নিয়মিত খাবারের সাথে কারি পাতার
যোগ করুন। আপনি দৈনন্দ জীবনে যা খাইবেন তার সাথে আপনার মাথার চুলও কিন্তু খাইবে
। তাই আপনি আপনার খাবারের সাথে কারি পাতার যোগ করুন। প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে
আপনি কারি পাতা কিভাবে খাবেন তা জেনে নিন ?
কারি পাতা রোদে শুকিয়ে সেটাকে গুড়ো করে নিবেন এবার ভাত কিংবা তরকারির
সাথে এটা খাবেন
যদি মনে করেন তাহলে কারি পাতা ও পুদিনা পাতা একসঙ্গে কেটে নিয়ে দুধের সাথে
মিশিয়েও খেতে পারেন।
আবার যদি আপনি মনে করেন যে কারি পাতা ভেজ নিয়ে খাবেন তাও পারেন, এখন
কিভাবে ভেজে খাবেন আপনারা তো বড়া বানানো জানেন নি বড়া বানানোর মতন করে
কারি পাতা দিয়ে বড়া বানিয়ে ভেজে খাবেন তাও পারেন।
আমরা বলতে পারি কারি পাতা ব্যবহারে কোন অপকারিতা নেই বললেই চলে তারপরেও
একটা জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেটা ভালো করে জেনে নেয়া উচিত। কারি পাতা
ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে সকল বিপদ ঘটতে পারে তা জেনে নিন?
কারি পাতা ব্যবহারে এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে তাই কারি পাতা ব্যবহারের আগে
আপনার শরীরে ব্যবহার করে দেখে নিবেন
কারি পাতা তেল ব্যবহারে শরীরে অনেক জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই যাদের এই
সমস্যা আছে তারাই পাতা ব্যবহার না করাটাই ঠিক
কারি পাতার বীজ কখনোই সেবন করবেন না, কারণ কারি পাতার বীজ অনেক বিষাক্ত।
চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার সম্পর্কে আমার মন্তব্য
চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহারে আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে
জানতে পেরেছেন। অনেকেই আছেন যারা চুলে অনেক দামি হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার
করেন। আবার অনেকেই চুলের যত্নে ভরসা করেন বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান। সেই
হিসেবে প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে প্রথমে উঠে আসে কালি পাতার নাম। খলি পাতার
মধ্যে এসব উপাদান রয়েছে যা আপনার চুল এবং স্কিনের যত্ন নেয়।
যার কারণে আয়ুর্বেদিক কারি পাতা ব্যবহৃত হয়। নিয়মিত নিয়ম করে এই কারি পাতা
ব্যবহারে আপনি আপনার চুলের একাধিক সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। যারা আমার এই
আর্টিকেলটি পরতাছেন দেরি না করে। আজ থেকে আপনার চুলের যত্ন নেয়া শুরু করুন ও
আপনার চুলে কারি পাতা ব্যবহার করুন। কারি পাতা ব্যবহারে আপনার চুল ঝলমলে লম্বা
ও চকচকে হতে সাহায্য করবে ও আপনার চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করতেও সাহায্য করবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url