কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম - বিদ্যুৎ বিলের হিসাব ২০২৫


আজকে আমি আপনাদের সামনে আপনাদের বাসার মিটায়ের বিদ্যুৎ বিল কিভাবে হিসাব করবেন। আমরা বাসা বাড়িতে দৈনন্দিন কি পরিমাপ বিদ্যুৎ খরচ করে ও আমরা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল সেটা সঠিক কিনা সেটা দেখব। 
কারেন্ট-বিল-বের-করার-নিয়ম

তো চলুন কিভাবে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করা যায় সে বিষয়ে জেনে নেই। আর একটা কথা বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার আগে আমাদের কিছু টপিক মনে রাখতে হবে কিংবা জেনে রাখতে হবে। সেগুলো হলো: 

1 kwh হলো = 1 unit    ( kwh হল কিলো ওয়াটা আর  আওয়ার )

আমরা জানি যে, 1  hp = 746  ওয়াট 

আবার এখানে আপনার ফ্রিজের উপর ডিপেন্ড করবেন যে আপনার ভোল্টেজটা কেমন। আমরা সতত জানি যে সিঙ্গেল সূর্যের জন্য। 

Power. P.  =Vicos¢. এটা শুধু। (Single Phase) এর জন্য। 

Power. P.  =Vicos¢. এটা শুধু। (Three Phase) এর জন্য। 

পেজ সূচিপত্র: কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম

কিভাবে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করবেন

এখন বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য আপনাদের কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যেমন আপনারা আপনাদের বাসা বাড়িতে কি ধরনের জিনিস ব্যবহার করেন ও সেই জিনিসগুলোর ওয়ার্ড কত সেগুলো জানতে হবে ও মিটার বেল সার্ভিস সবারও নানা ধরনের সব চার্জ কোনটর কত টাকা এগুলো সব ভালো করে জানতে হবে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক আপনার বাসা বাড়িতে কি কি ধরনের জিনিস চলেও সেই জিনিস গুলার ওয়াট কত সেগুলো ভালো করে জেনে নিও মিটার ডিমান চার্জ এগুলো সব কিছু জেনে নিন। 

আমরা জানি যে, নেট বিলের সঙ্গে এনার্জি বিল ও মিটার বিল এগুলো অ্যাড হয়। 

  • নেট বিল = এনার্জি বিল + মিটার বিল 

  • এনার্জি বিল হল = আমরা এক মাসের যে পরিমাপ খরচ করি (kwh)

  • আবার, মিটার বিল = ডিমান্ড চার্জ + সার্ভিস চার্জ 

  • ডিমান্ড চার্জ হল = প্রতি কিলোওয়াটে   ১৫ টাকা

  • সার্ভিস চার্জ = সিঙ্গেল ফিরোজের জন্য ১০ টাকা ও ফ্রি ফিউদের জন্য ৩০ টাকা

  • ভ্যাট = নেট বিল এর সাথে ৫ % যোগ করা লাগবে 

আপনার বিল দেওয়ার ডেট পার হয়ে গেলে কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে মোট বিলের সঙ্গে ৫ % যোগ করতে হবে।

এখন আমরা বাসা বাড়িতে যে সকল ধরনের জিনিস ব্যবহার করি সেগুলোর ওয়ার্ড হল:
  • লাইটের জন্য ১০ থেকে ২০০ ওয়াট
  • ফ্যানের জন্য ৪০ থেকে ৮০ ওয়াট 
  • টেলিভিশনের জন্য ৩০ থেকে ১২০ ওয়াট 
  • ল্যাপটপ কিংবা ডেক্সটপ এর জন্য ২০ থেকে ২৫০ ওয়াট 
  • ফ্রিজের জন্য ৩০ থেকে ২৫০ ওয়াট 
  • যদি এসি থেকে থাকে ১২০০ থেকে ৩০০০ ওয়াট
  • পানির পাম্প কিংবা মোটার যদি থাকে এক ১/৮ থেকে ৩ হর্স পাওয়ার‌ পর্যন্ত 
  • আরো নানা ধরনের একটিকের রান্নার আরো অন্যান্য ধরনের জিনিস আছে। 
ও ইত্যাদি। এখন এখানে আমি বলছি না যে আমার বাসাতে যে এগুলা আছে এখন আপনার বাসাতেও এগুলা থাকবে কিংবা এই লোড ব্যবহার হবে আপনার বাসাতেও। এগুলা দিয়েছি শুধু আপনাদের বোঝানোর স্বার্থে কিংবা সাধারণ একটি ধারণা দেবার জন্য।

সাধারণত আমরা লোডের হিসাব যেভাবে করি উপরে হয়তো জেনেছি তারপরও আবার একটু ভালো করে জেনে নিই। 

উপরে আমরা এক জায়গায় দেখেছিলাম যে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করার জন্য আমরা ব্যবহার করে থাকি 

নেট বিল = এনার্জি বিল + মিটার বিল 


এখন এখানে এনার্জি বিল জানার জন্য আমাদের প্রথমত জানতে হবে যে আমরা এক মাসে যত ইউনিট ব্যবহার করেছি। ও জানতে হবে প্রতি ইউনিট এর মূল্য তাহলে আমাদের কাজ অনেকটাই কমপ্লিট হয়ে যাবে। এখন আমাদের যদি এক মাসের ইউনিটের পরিমাপ জানতে হয় তাহলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে এক মাসে কিংবা আমাদের বসতবাড়িতে আমরা কি কি ধরনের লোক ব্যবহার করে থাকি সেই লোড গুলার ওয়েট কত হিসাব করতে হবে। তো চলুন সেই লোডগুলোর ওয়েট হিসাব করে নিই কিংবা কি কি আমাদের বাসা বাড়িতে ব্যবহার করে থাকি। 

আমরা লোডের হিসাব যেভাবে করব

  1. এখন যদি লোড ওয়েট দেওয়া থাকে তাহলে সেটাকে আমরা W এর মান। এখন আমরা W নির্ণয় করব।

  2. যদি নোট কিংবা কারেন্ট এবং ভোল্টেজ এর মান দেওয়া থাকে তাহলে আমরা পাওয়ারের সূত্র দিয়ে বের করতে পারব এবং পাওয়ার এর সূত্র শুরুতে প্রথমে ইনভার্ট কমা দেয়া লাগবে। 

  3. যদি হটস্পরের কোন সূত্র দেয়া থাকে কিংবা হটস্পট দেয়া থাকে তাহলে সেটাকে আমরা ৭৭৬ দিয়ে গুন করে W এর মান বের করব

  4. আমরা জানি যে, W কে KH নিতে হবে অর্থাৎ আমরা W কে কে ১০০০ দিয়ে ভাগ করে কিলোওয়াট নিতে হবে অর্থাৎ আমরা যদি ওয়েটকে ১০০০ দ্বারা ভাগ করি তাহলে আমাদের যে ভাগফলটি আসবে সেটাই আমাদের কিলোওয়া। 

  5. আবার এখানে KH কে আমরা (ঘন্টা) দিয়ে গুন করবো ও ভুল করে যে মূল ফলটা আসবে সেটাই আমাদের ইউনিট বের করতে সাহায্য করবে কিংবা সেটাই আমাদের (ইউনিট)।

একটি সাধারণ বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের হিসাব

এখানে আমরা যেটা হিসাব করব একটি সাধারন বাসা বাড়িতে যে সকল বিদ্যুতের জিনিস ব্যবহার করা হয় সে সকল জিনিসের ওয়েট কেমন সেগুলো ভালোমতো জেনে নেব ও এখানে একটু ভালো করে মনোযোগ দিয়ে বুঝুন।

উদাহরণস্বরূপ আমরা দেখব একটি বাসা বাড়িতে যে সকল জিনিস ব্যবহৃত হয় : সাধারণত একটি বাসা বাড়িতে যদি ৮০ ওয়াটের দুইটি ফ্যান চলে, ৫০ ওয়াটের তিনটি লাইট, (২০০V,০.4A 08pf ) এবং ২ hp এর একটি পানি তোলার মোটর দৈনিক যদি পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা চলে তাহলে মে মাসের বিদ্যুৎ বিল কত টাকা আসতে পারে। আবার আমরা জানি প্রতি ইউনিটের মূল্য ৭ টাকা করে।

এখন আমরা সমাধান করে দেখব: 

আসছি ওয়াটের দুইটি ফ্যান একদিনে যে পরিমাপ ওয়াট খরচ করবে

( ৮০ * ২= ১৬০ ) W

৫০ ওয়াটের তিনটি লাইট যে পরিমাপ ওয়াট খরচ করবে 

( ৫০ * ৩= ১৫০ ) W

একটি টেলিভিশন প্রতিদিন যে পরিমাপ ওয়াট খরচ করবে 

 (২০০ * ০.৪ * ০.৮ = ৬৪ ) W

২ hp একটি মোটর প্রতিদিন যে পরিমাপ ওয়াট খরচ করবে 

( ২ * ৭৪৬ = ১৪৯২ ) W
কারেন্ট-বিল-বের-করার-নিয়ম

এখন আমাদের বাসা বাড়িতে একদিনের যে পরিমাপ ওয়েট খরচ করে সেগুলো এখন সবগুলো একসাথে যোগ করে দেখব আর যোগ করে যে যোগফল টা হবে সেটি হলো আমাদের একদিনের বাসাবাড়ি কত ওয়েট আমরা খরচ করে থাকি সে ওয়েটটা।

এখন সবগুলো যোগ করে দেখি: 

( ১৬০ + ১৫০ + ৬৪ + ১৪৯২ = ১৮৬৬ ) W
এখন আমরা উপরে জেনে এসেছি যে ওয়েটকে আমরা যদি এক হাজার দ্বারা ভাগ করি তাহলে আমরা (Kh) পেয়ে যাব। 

( ১৮৬৬/১০০০ = ১.৮৬৬ ) KH

এখন এখানে আমরা যে ভাগফল টি পেয়েছি এটি কিন্তু আমাদের সারাদিন চলবে না এটাকে আমরা ঘরে হিসাব করলে আমরা সারাদিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা চালাতে পারবো যদি সারাদিনে আমাদের ৫ ঘন্টা চলে তাহলে আমাদের একদিনের ইউনিট যেটা আসবে চলুন দেখেনি।

( ১.৮৬৬ * ৫ = ৯.৩৩ ) KWH

এখন আমাদের প্রতিদিন যে ইউনিটটা খরচ হয় সেই অনেকটা আমরা বের করতে পেরেছি। তাহলে এবার আমরা আমাদের গোটা মাসে কত ইউনিট খরচ হয় ও কত টাকা বিল আছে সেটা আমরা এবার খুব সহজে বের করতে পারবো। তো চলুন জেনে নিই এপ্রিল মাসে কতদিন ও এপ্রিল মাসে আমাদের কত টাকা বিল আসবে। 

( ৯.৩৩ * ৩০ = ২৭৯.৯ ) Kwh ( ইউনিট )

এখন আমরা জানি যে প্রতি ইউনিটের মূল্য ৭ টাকা করে। এখন তাহলে আমরা খুব সহজে বের করতে পারবো যে আমাদের এপ্রিল মাসের বিল কত টাকা এসেছে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক আমাদের এপ্রিল মাসের বিল কত টাকা এসেছে। 

( ২৭৯.৯ * ৭ = ১৯৫৯.৩ ) টাকা 

তাহলে সবাই বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আমরা আমাদের বাসা বাড়িতে কত ইউনিট খরচ করেছি ও কত টাকা আমাদের বিল এসেছে এটা এখন আমরা খুব সহজে বের করতে পারব।

এবার আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো কারেন্টের বিল কিভাবে বের করতে হয়

আমরা ইতিমধ্যে জেনে এসেছি যে কারেন্টের বিল কিভাবে বের করতে হয়। ওখানে আমরা জেনেছি যোগ্য গুন ভাগ করে এখন আমরা জানবো একটা আর্টিকেলের মাধ্যমে কিভাবে আপনার বাসা বাড়ি কারেন্টের বিল বের করতে হয়। তো চলুন জেনে দেখ যে আর্টিকেলের মাধ্যমে কিভাবে আপনার বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের হিসাব খুব সহজেই করবেন।

আমরা উপরে হয়তো দেখে এসেছি যে আমাদের বিদ্যুৎ বিল বের করার জন্য কিছু শর্ত মেনে বিদ্যুৎ বিল বের করতে হবে তো আমরা ইতিমধ্য উপরে সেই শর্তগুলা দেখতে পাচ্ছি সেই শর্ত অনুযায়ী আমরা যদি বিদ্যুৎ বিল বের করি তাহলে খুব সহজে আমরা জেনে যাব যে একটি সাধারন বাসা বাড়িতে দিনে কত টাকার বিদ্যুৎ ফুরায় ও একমাসে সে কত টাকা বিদ্যুৎ খরচ হয়। কে ডাবলু এইচ এটা হল ইউনি ট কিংবা কিলোওয়াট ও আওয়ার নামে পরিচিত আর কি সমান আমরা জানি যে আপনার ওয়ান ফিউজ এর জন্য এত টাক কাটে ও ফ্রী ফিরোজের জন্য কত টাকা কাটে এটাকে বোঝানো হয় পি পাওয়ার দিয়ে। 

আবার আমরা উপরে জেনে এসেছি যে বাসা বাড়িতে যে সকল জিনিস ব্যবহৃত হয় কোনটার পাওয়ার ওয়েট কেমন ওগুলা সবাই হয়তো উপরে জেনে এসেছে তারপরেও আবার বলে দিতাছি যে আপনার বাসা বাড়িতে যে সকল জিনিস ব্যবহার করেন সে সকল জিনিসের ওয়েট অনুযায়ী আপনার বাসা বাড়ির বিল তৈরি হয় ও সরকারি কিছু ভেদ সার্চ দিয়ে আপনার বিলের সঙ্গে যোগ করে পুরো মাসের বিলটা তৈরি করে। তো আপনারা জানেন সরকারি ভ্যাট চার্জ ও মিটার চার্জ ইত্যাদি গুলা সবকিছু জেনে এসেছেন। 

এক ইউনিট = কত ওয়েট জেনে নিন

এখন আমরা জানবো যে এক ইউনিট সমান কত ওয়েট । আর এটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ যে এক ইউনিট সমান কত ওয়েট এটা যদি আমরা না জেনে থাকি তাহলে আমরা আমাদের বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিল কোনদিনই সঠিকভাবে হিসাব করতে পারব না। তাই আমি সেকশনে বলে দিব যে এক ইউনিট সমান কত ওয়েট সে সম্পর্কে আলোচনা করব তো চলুন যে জেনে নেয়া যাক যে একই ইউনিট সমান কত ওয়েট হয়। 

এখন আমরা বেসিক্যালি কিছু ইনফরমেশন দিব সে অনুযায়ী আপনারা নিশ্চিত বুঝতে পারবেন যে এক ইউনিট সমান কত ওয়েট তো চলুন সেই বেসিকালি সংগা টুকু জেনে নেয়া যায়:

সাধারণত বাংলাদেশ সরকারের ভ্যাটচার্য ইউনিট চার্জ দিয়ে আমরা জানি যে সাধারণত একটা বাসা বাড়িতে যদি ১০০০ ওয়েটের একটি এসি এক ঘন্টা চলে তাহলে ওই বিল্ডিংয়ে শুধু এসি থেকে এক ইউনিট বিল উঠবে। যেটা ভেবে না যে গোটা বাসাতেই এক ঘন্টা এক মিনিট বিল উঠবে। শুধু এসি চালালে এক ঘন্টা এক হাজার ওয়াটের তাহলে শুধু এসি থেকে এক ইউনিট বিল উঠবে আর ১০০০ ওয়াটের এসি চালালে এটার ভ্যাট চার্জ ডিমান্ড চার্জও বেশি। 
আবার আপনি যদি আপনার বাসা বাড়িতে ৫০০ ওয়েটের ফ্রিজ 2 ঘন্টা চালান তাহলে এক ইউনিট বিল উঠবে। এখানেও সেম শুধু আপনার ফ্রিজের জন্যই যদি দুই ঘন্টা চালান পাসওয়ার্ডের তাহলে আপনার ওই শুধু ফ্রিজ থেকে একই ইউনিট বলুন। একটা বাসা বাড়িতে কিন্তু নানান ধরনের জিনিস থাকে তাহলে বুঝতে পারছেন এক ঘন্টা তে যদি তাপস তিন থেকে চার ইউনিট ওঠে তাহলে এক মাসে কত ইউনিট আপনার বিল উঠতে পারে। এবার নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনার বাসা বাড়িতে যত টাকা বিল আছে কিংবা আসবে সেটা আপনি চাইলে আপনি নিজে হিসাব করতে পারবেন। 

বাসা বাড়িতে কত ইউনিট খরচ করলে ইউনিটের রেট কেমন হবে:

এই সেকশনে আমরা জানবো যে আমরা সাধারণত বাসা বাড়িতে কত ইউনিট খরচ করলে সেই ইউনিটের রেট কত হবে। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে আমাদের বাসা বাড়ির জন্য একটি নিয়ম আছে রুলস আছে এই নিয়মের ঊর্ধ্বে যদি আমরা বেশি কারেন্ট খরচ করি তাহলে আমাদের ইউনিট সার্চ টা একটু বেশি হয়ে যাবে। চলুন জেনে নেয়ার যাক যে কত ইউনিট খরচ করলে ইউনিটের রেট কেমন হবে। 

আমরা হয়তো সবাই জেনে থাকি যে একই ইউনিট ৬ টাকা কিংবা সাত টাকা কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল আমরা যদি সাধারণত বাসা বাড়িতে ১ থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে কারেন্ট খরচ করে থাকে তাহলে আমাদের ওই ইউনিটের রেট গড় হিসাব করে দাঁড়াবে ৩.৮০ টাকা। এর সাথে সরকারের চার্জ ভ্যাট চার্জ সবকিছু যোগ হবে। 

আবার যদি ৭৫ থেকে ২০০ ইউনিটের মধ্যে খরচ করি তাহলে আমাদের এই মাসের মিনিটের রেট হবে ৫.১৪ টাকা করে। এখন এর সাথে সরকারি চার্জ ভ্যাট চার্জ যোগ হবে। 

২০০ থেকে ৩০০ ইউনিটের ভেতর বিদ্যুৎ খরচ করলে ওই মাসের বিদ্যুতের ইউনিটের রেট আসবে ৫.৩৬ টাকা। এখন এখানে সবার প্রশ্ন থাকতে পারে যে যত পরাবো তত বেশি হ্যাঁ এটার নিয়ম যে বিদ্যুৎ আপনি যত ফুরাবেন তত ইউনিটের রেট বেশি আসবে।

আবার যদি আপনি ৩০০ থেকে ৪০০ মিনিটের ভেতর বিদ্যুৎ খরচ করে থাকেন তাহলে আপনার ঘরে ওই মাসের বিদ্যুতের ইউনিট এসে দাঁড়াবে ৫.৬৩ টাকা। এটাই কিন্তু শেষ একটি বাসা বাড়ির ইউনিটের নিয়ন্ত্রণের রেট এখন এর ঊর্ধ্বে যদি চলে যান তাহলে কত টাকা বিল আছে জেনে নিন কিংবা ইউনিটের রেট কত। 

আমরাও করে জেনেছি যে সাধারণত একটি বাসা বাড়িতে ইউনিটের যেমন রেট আসে। এখন আপনি যদি এই ৩০০ থেকে ৪০০ ইউনিটের বেশি ফনান তাহলে আপনার ইউনিটের কেমন আসবে তো চলুন নিচের দেখে নেয়া জাক সরকারের নিয়মের বাইরে গিয়ে যদি ইউনিট বেশি ফুরায় তাহলে ইউনিটের রেট কেমন হবে। 

আপনি যদি 400 থেকে 600 ইউনিট খরচ করে থাকেন কিংবা আপনার এক মাসে যদি 400 থেকে 600 ইউনিটের মধ্যে খরচ করে থাকেন তাহলে আপনার ওই মাসের ইউনিটের রেট এসে দাঁড়াবে প্রতি এক ইউনিট সমান ৮.৭০ টাকা করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ৪০০ থেকে ৬০০ মিনিটের মধ্যে যদি খরচ করি তাহলে ইউনিটের রেট কত টাকা এসে দাঁড়াবে। 

আবার আপনি যদি 600 ইউনিটের উর্ধ্বে খরচ করে থাকেন তাহলে আপনার ইউনিটের রেট এসে দাঁড়াবে প্রতি ইউনিট অনুযায়ী ৯.৯৮ টাকা। মানে দশ টাকার দুই সেন্ট কম তাহলে বুঝতেই পারছেন যে আপনার বাসা বাড়িতে আপনি যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করবেন সে উনি অনুযায়ী আপনার ইউনিটের রেট ধরা হবে আবার আপনি যদি ইউনিট অধিক ইউনিট পুরান তাহলে আপনার ইউনিটের রেট বেশি ধরা হবে।

তাহলে সবাই বুঝতে পেরেছেন যে একটি সাধারন বাসা বাড়িতে কেমন ইউনিট পোড়াতে হয় ও একটি বাসা বাড়িতে কেমন ইউনিট আসে।

বিদ্যুৎ বিল কেন বেশি আসে সে সম্পর্কে জেনে নিন

বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার কারণ হচ্ছে আমাদের কিছু কিছু ভুলের জন্যও কিন্তু অনেক বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল চলে আসে। তো আজকে আমাদের যে সকল ভুলগুলোর জন্য বিদ্যুৎ বিল বেশি আছে সে সকল ভুলগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করব তো চলুন জেনে নেয়া যাক যে আমাদের কি কি ভুলের কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। 

আমরা অনেক সময় যেকোনো জিনিস ব্যবহার করার ফলে তার যে ফ্লাক টা থাকে ওই ফ্লক টা কিন্তু বোর্ডের সাথে কিংবা সার্কিট বোর্ডে লাগিয়ে রাখে। এটা করবেন না এটা করার ফলে আপনার বিদ্যুৎ বিল আপনি কিছু করবেন না কিন্তু তা ওই যে ফ্লাগ থেকে উনার যন্ত্রণা পর্যন্ত যতটুকু বিদ্যুৎ যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার বিদ্যুৎ খরচ হবে এটা থেকে বিরত থাকুন। 
এরপরে আপনি আপনার বাসা বাড়িতে ব্যবহারের জন্য যে সকল জিনিসগুলো কিনে আনেন সে সকল জিনিসগুলো অবশ্যই জেনে রাখবেন যে সেরা দেখি বিদ্যুৎসার গেট আছে কিনা যদি সেটাতে বিদ্যুৎ সার্কিট থাকে তাহলে আপনি ওই জিনিসটা কিনবেন তা না হলে ওই জিনিসটা কিনবেন না। এখন কথা হচ্ছে বিদ্যুৎ সারকিট আলা জিনিস কোথায় পাব। সচরা তো যে সকল জিনিসের সার্কিট থাকে না সে সকল জিনিসের পরবর্তীতে সার্কেট আলা জিনিসও আছে। 
কারেন্ট-বিল-বের-করার-নিয়ম

আবার আপনার বাসা বাড়িতে যদি আপনি আগেকার লাইট কিংবা আগেকার ফ্যানট্যান ব্যবহার করেন তাহলে ওগুলা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন কারণ আগেকার যে সকল জিনিসগুলো আছে ওই সকল জিনিসগুলা এখন ব্যবহারে অনেক পরিমান বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে। এখন যে সকল নতুন জিনিস বাজারে উঠেছে যেমন এলইডি লাইট এলইডি ফ্যান মানে এলইডি আরো নতুন নতুন কোম্পানি যেগুলোতে বিদ্যুৎ স্যার কেটালা জিনিস থাকে আপনি চাইলে ওগুলা ব্যবহার করতে পারেন ওগুলা ব্যবহারে আপনার বিদ্যুৎ অনেকটা কম খরচ হবে। 

এখন আপনাদের মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে যে ভাই আমার তো আগেকার জিনিস আছে তো আমি নতুন জিনিস আবার ব্যবহার করব কেন। ভাই একটাই কথা যে ডিজিটাল যুগে এসে আপনি যদি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারেন তাহলে আপনার দ্বারা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব না। এখন সবাই জানে যে সব জায়গাতেই ঘাপলা চলে তোমরা সব জায়গাতেই ডুব্লিকেট চলে এখন এখানে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সরকারের সাথে কিছু কিছু কোম্পানিরা চুক্তি করেছে যে আমাদের জিনিস ব্যবহার করলে ওদের বিল কম আসবে আবার আগেকার যুগের যেগুলা আছে ওগুলো ব্যবহার করলে ওগুলো তো অনেক বিল বেশি আসে। তাই আপনার বিল কমানোর জন্য ডিজিটাল যুগের সাথে আপনাকেও তাল মিলাতে হবে তা না হলে আপনার বিল অনেকটাই বেশি আসবে। 

বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়

আমরা উপরের সেকশনে জেনে এসেছি যে কি কারনে আমাদের বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে এখন আমরা জানবো যে বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় তো চলুন যে বিদ্যুৎ বিল কিভাবে কমানো যায়। এখানে আমি বলব আপনারা উপরে তো সবকিছুই জেনেছেন যে কিভাবে বিদ্যুৎ বিল বেশি আছে সে নিয়মগুলো যদি মেনে আপনারা আপনাদের বাসা বাড়ির নিয়ম মেনে চলেন তাহলে আশা করছি যে আপনাদের বাসা বাড়িতে বিল আগের অনুযায়ী অনেকটাই কমে যাবে। তারপরেও আপনারা তাই করবেন। 

আবার হ্যাঁ আপনারা যদি পারেন তাহলে আপনাদের বাসা বাড়িতে পুরো বিদ্যুৎ ব্যবহার করুন। এতে কি এতে যদি অনেক সুবিধা আছে আবার এটা ব্যবহারে আপনার বিল যদি সাপোর্ট মাসে ২০০০ টাকা আছে তাহলে আপনি সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে আপনার বিল মাসে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে চলে আসবে। বুঝতে পারছেন শুরু বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপকারিতা আবার হ্যাঁ সবচেয়ে বেশি উপকার হলো যে আপনার বাসাতে যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে আপনার সৌর বিদ্যুৎ দে আপনি আপনার বাসাতে সচরাচর সব কাজগুলো করতে পারবেন শুধু যেগুলা নিয়ে ওয়েট বেশি টানে ওগুলা বাদ দিয়ে সবগুলোই করতে পারবেন। 

তাহলে এখন বুঝতে পারছেন যে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপকারিতা আপনি সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে আপনার বাঁচাতে যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে আপনার বাশার লাইট ফ্যান ও ফ্রী সবগুলাই চলবে টিভিও চলবে শুধু চলবে না আপনার বাসাতে যদি এসিড থাকে এসিটা চলবে না আরো এসির মত নানান ধরনের যেগুলোতে বিদ্যুতের ওয়েট বেশি খরচ করে ওগুলা বাদে সচরাচর সবগুলোই চলবে আপনি সৌর বিদ্যুৎ যদি ব্যবহার করেন। আবার সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে আপনার বিলের হারও অনেকটাই কমে যাবে।

মিটারে যে সকল কাজগুলো করতে হয়

আপনার বাসা বাড়ি বেশি আসার কারণের মধ্যে মিটারের উৎস কিন্তু থাকে। আপনার এই মিটারে যদি কোন সমস্যা থাকে তাও কিন্তু আপনার বাসা বাড়িতে বিল বেশি আসতে পারে। তো চলুন কিভাবে আপনি আপনার মিটার পরীক্ষা করবেন ও আপনার মিটারের সমস্যা আছে কিনা সেটি একটু চেক করে দেখবেন। 

এখন কথা হচ্ছে যে মিটার কিভাবে চেক করব যদি আপনি দেখেন যে আপনার বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ খরচ করার থেকে আপনার মনে হচ্ছে যে অনেক বেশি বিদ্যুৎ বিল এসেছে তাহলে আপনি বিদ্যুতের লোক দিয়ে আপনার মিটার টু পরীক্ষা করান ও আপনার যদি মনে হয় যে আপনার মেয়েটা ঠিকঠাক মতো কাজ করে না তাহলে আপনি বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে বিদ্যুতের লোক আসতে বলবেন ও আপনার মিটারটা চেক করতে বলবেন। ওরা এসে যদি আপনার মিটারের চেক করে কোন সমস্যা থাকে তাহলে ওরা বলবে আপনি অফিসে গিয়ে দরখাস্ত করে আছেন ও নতুন মিটারের জন্য আবেদন করে আছেন। 

তাহলে আপনি কি করবেন আপনি তা অফিসে গিয়ে তাদের কথা অনুযায়ী সব কথা অফিসের লোকদের বলবেন ও ওদের বলবেন যে আমি নতুন মিটার নিতে চাই আমার আগের মিটার টা চেঞ্জ করে আমাকে নতুন মিটার দেন তাহলে ওরা কিছুদিন সময় নেবে ও সেই সময়ের ভেতরে আপনার বাসাতে নতুন মিটার স্থাপন করে দিবে নতুন মিটার স্থাপন করার ফলে আপনার বিল আগের তুলনায় আরো অনেকটাই কমে যাবে। তো বুঝতেই পারছেন যে আপনার মিটার কিভাবে পরীক্ষা করবেন। 

লেখকের শেষ কথা বা মন্তব্য

এখন আমি আর কি বলব এখন একটি বাসা বাড়িতে কিভাবে বিদ্যুৎ বিল চেক করবেন ও কি কি কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে ও কি কি কারণে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে সেসব বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করেছি। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে কি কি কারনে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে কি কি কারণে বিদ্যুৎ বিল কম আসতে পারে। আবার আপনার নিজের বাসার বিদ্যুৎ বিল আপনি নিজেই বের করতে পারবেন কিভাবে সে বিষয়েও জেনেছেন। এখন কথা হচ্ছে আপনার বাসা বাড়িতে যে অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল আসে আপনার যদি সেই বিদ্যুৎ দিলে কোন সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে আপনি নিজেই এখন আপনার বাসাবাড়ি বিদ্যুৎ বিল তৈরি করতে পারবেন ও কত টাকা বিল আসতে পারে সেটার একটা আইডিয়া পাবেন। 
এখন আপনার বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল আসার পরে যদি আপনি মনে করেন কিংবা আপনার যদি মনে হয় যে আমার আইডিয়া থেকে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি এসেছে তাহলে আপনি অনেকগুলো পদ্ধতি আমি শিখিয়ে দিয়েছি কিংবা বলে দিয়েছি যে কি কি কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে সে অনুসারে আপনি যদি কিংবা সে অনুযায়ী যদি আপনি কিছুদিন ট্রাই করেন তাহলে বুঝতে পারবেন যদি আপনার মিটারে সমস্যা থাকে কিংবা বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে গিয়ে আপনাদের কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনি ধরতে পারবেন। আর আমি যে নিয়মগুলো বলেছি সেদিনও বলে দেয় যদি আপনি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসবে আবার আপনি আপনার নিজের বিদ্যুৎ বিল আপনি নিজেই তৈরি করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url