বিনা খরচে স্বপ্নের বাড়ি তৈরি - ডেভলপার কোম্পানি লিমিটেড
বর্তমানে আমাদের দেশে বাড়ি তৈরি করা একটি বড় আর্থিক ব্যয়। কিন্তু বেশ কিছু কোম্পানি এখন নতুন এক পদ্ধতি চালু করেছে যেখানে আপনি আপনার জমিতে বাড়ি তৈরি করিয়ে নিতে পারবেন, এবং সেই বাড়ির জন্য মাসিক কিস্তি দিতে পারবেন।
এই পদ্ধতিটি অনেক মানুষের জন্য একটি আকর্ষণীয় সুযোগ হতে পারে, যারা এককালীন বড় অঙ্কের টাকা দিতে অপারগ, কিন্তু মাসে মাসে কিছু পরিমাণ টাকা শোধ করার সক্ষমতা রাখেন।
পেজ সূচিপত্র: বিনা খরচের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি
- কিভাবে কাজ করে এই পদ্ধতি
- কোম্পানি যে সকল সুবিধা দেবে
- ভোক্তা ও গ্রাহকরা যে সুবিধা পাবে
- আগ্রহী ব্যক্তিরা কিভাবে যোগ দিতে পারেন জেনে নিন
- প্রকল্পটি নির্মাণে যে সকল যুক্তি ও সমস্যা হতে পারে
- আরো একটি নতুন কোম্পানির সুযোগ সুবিধা দেখিয়ে দিন
- কারখানার একজন শ্রমিক লেভেলের কর্মচারীর যা সুযোগ-সুবিধা দেয়
- ওভারটাইম করলে ডাবল স্যালারি নিয়ে কিছু কথা
- লেখকের শেষ কথা বা মন্তব্য
কিভাবে কাজ করে এই পদ্ধতি?
এই পদ্ধতিতে, আপনার জমি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি বাড়ি নির্মাণ করতে সক্ষম হবেন একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি। কোম্পানি আপনার জমিতে বাড়ি তৈরি করবে এবং তারপর আপনি একটি নির্দিষ্ট মাসিক কিস্তি দিয়ে বাড়ির মালিক হয়ে উঠবেন। সাধারণত, একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে এই পদ্ধতিটি কাজ করে এবং কিস্তি প্রদান করতে হবে কোম্পানির নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে।
কোম্পানির যে সকল সুবিধা দেবে :
বাড়ি নির্মাণের খরচ কমানো: কোম্পানি আপনাকে বাড়ি নির্মাণের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে, যার ফলে আপনি এককালীন বড় অঙ্কের টাকা খরচ থেকে মুক্তি পাবেন। মাসিক কিস্তি প্রদান পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি সহজেই বাড়ির মালিক হতে পারবেন।
নিরাপত্তা ও গ্যারান্টি: এই ধরনের কোম্পানিগুলো সাধারণত গ্যারান্টি দেয় যে, তারা ঠিক সময়ে বাড়ি নির্মাণ শেষ করবে। এছাড়াও, বাড়ির গুণগত মানের জন্যও কোম্পানি দায়বদ্ধ থাকে।অনেক ধরনের পরিকল্পনা: বিভিন্ন ধরনের বাড়ির পরিকল্পনা এবং ডিজাইন কোম্পানি প্রদান করে থাকে, যার মধ্যে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বাড়ি তৈরি করতে পারেন। এছাড়া, কিস্তি প্রদান পদ্ধতি অনেকগুলো পছন্দের মাধ্যমে চালানো যেতে পারে, যেমন: ৫ বছর, ১০ বছর বা ১৫ বছর।
আরও সহজ কিস্তি: আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট টাকা দেওয়ার পরিমাণ নিয়ে সংকটে পড়েন, তবে অনেক কোম্পানি কিস্তির পরিমাণ কমানোর সুযোগও প্রদান করে থাকে। ফলে, আপনার আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হলে কিস্তি সহজে সামঞ্জস্য করা সম্ভব।
ভোক্তা ও গ্রাহকের রা যে সুবিধা পাবে:
অল্প খরচে বাড়ি মালিক হওয়া: সাধারণত বাড়ি কেনার জন্য এককালীন বড় অঙ্কের টাকা দরকার, কিন্তু এই পদ্ধতিতে আপনি মাসে কিছু টাকা প্রদান করে বাড়ির মালিক হতে পারেন।
স্বপ্নের বাড়ি পেতে সহায়তা: অনেক মানুষই স্বপ্ন দেখে নিজস্ব বাড়ি তৈরি করার, কিন্তু তারা অধিক টাকা খরচ করতে পারে না। এই পদ্ধতিতে তারা একটি স্বপ্নের বাড়ি পেতে পারে, যার জন্য তারা ছোট ছোট কিস্তি পরিশোধ করবে।
লোন বা ঋণ ছাড়াই বাড়ি নির্মাণ: এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে বাড়ি নির্মাণের জন্য ব্যাংক ঋণ নিতে হয় না। তাই ঋণের ঝামেলা এবং সুদের বোঝা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
আগ্রহী ব্যক্তিরা কিভাবে যোগ দিতে পারেন জেনে নিন
যারা এই সুবিধাটি গ্রহণ করতে চান, তারা কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের জমি এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জানান। এরপর কোম্পানি তাদের বিভিন্ন প্যাকেজ ও প্ল্যান সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবে এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত পরিকল্পনা নির্বাচন করতে সহায়তা করবে।
আপনি যদি এই ধরনের কোনো প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে চান, তবে আপনি আপনার অঞ্চলের বিভিন্ন নির্মাণ কোম্পানি বা ডেভেলপারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া, অনলাইনে বা বিজ্ঞাপনে এমন বিভিন্ন কোম্পানির সম্পর্কে জানার সুযোগও রয়েছে।
প্রকল্প টি নিম্রানে যে সকল ঝুঁকি ও সমস্যা হতে পারে:
প্রকল্প বিলম্ব: কখনো কখনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ে বাড়ি নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারে না, যার ফলে গ্রাহকদের অনেকটা অস্বস্তি হতে পারে।
গুণগত মানের সমস্যা: কিছু কোম্পানি কম খরচে বাড়ি নির্মাণ করে, কিন্তু গুণগত মানের ব্যাপারে কখনো কখনো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আইনগত জটিলতা: জমি সংক্রান্ত কোনো আইনি সমস্যা হলে কোম্পানির সাথে চুক্তি বা জমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হতে পারে।
আরও ও একটি কম্পানির সুযগ সুবিধা দেখে নিন
আপনার জমিতে বাড়ি নির্মাণের এই পদ্ধতি বর্তমান সময়ে একটি আকর্ষণীয় এবং সহজলভ্য বিকল্প হতে পারে। তবে, এতে কিছু ঝুঁকি থাকলেও সঠিক পরিকল্পনা ও বিশ্বাসযোগ্য কোম্পানির মাধ্যমে এটি আপনার জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে।
আপনি যদি বাড়ি নির্মাণের জন্য টাকা খরচ করার একটি সহজ উপায় খুঁজছেন, তবে এই ধরনের পদ্ধতি বিবেচনা করা যেতে পারে, তবে সঠিক কোম্পানি এবং প্ল্যান নির্বাচন করার বিষয়ে সঠিক গবেষণা এবং যাচাই করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাটার দুইটা ফ্যাক্টরী আছে বাংলাদেশে। একটা ধামরাইতে অন্যটি টঙ্গীতে। এখানে কাজ করে কয়েক হাজার বাংলাদেশী কর্মী। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি বাটার মতো শ্রমিক বান্ধব কোম্পানি বাংলাদেশে দ্বিতীয়টা নাই।কারখানার একজন শ্রমিক লেভেলের কর্মচারীর যা সুযোগ সুবিধা দেয়:
- সাপ্তাহিক বেতন পদ্ধতি। প্রতি বৃহস্পতিবারে বেতন একাউন্টে ঢুকে যাবে, ঝড় তুফান যাই হোক না কেনো।
- সাপ্তাহিক হেলথ চেকআপ৷ সাথে প্রয়োজনীয় সকল ঔষধ ফ্রি।
- প্রতিদিন ডিউটি শেষে হাফ লিটার দুধের প্যাকেট সবার জন্যে।
- এছাড়া কেউ সিরিয়াস লেভেলের অসুস্থ হলে হলি ফ্যামিলিতে ফ্রি ট্রিটমেন্ট।
- কেউ চাকরি থেকে অবসর নিলে তার পরিবারের যে কেউ সেই চাকরিতে জয়েন করার সুযোগ।
- চাকরি শেষে ১৫-৩০ লাখ টাকা, PF সহ অন্য সব কিছু বাবদ।
- বিশেষ প্রয়োজনে অফিস থেকে এক লাখ টাকা লোন, যা পরবর্তীতে স্যালারী থেকে অল্প অল্প করে কেটে রাখা হয়।
- ফ্রি নাস্তা রেগুলার।
- অবসরের সময় বিশেষ সংবর্ধনা ও উপহার।
- খেলাধুলা, পিকনিক সহ অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা।
- শ্রমিক ইউনিয়ন।
- বাচ্চাকাচ্চা জিপিএ ৫ পেলে ২/৩ বছরের জন্য মাসিক বৃত্তি।
- প্রফিট শেয়ারিং।
ওভারটাইম করলে ডাবল স্যালারী নিয়ে কিছু কথা
তারা করোনার সময় জোর করে কর্মী ছাটাই করেনি। সুযোগ দিয়েছে যারা নিজ থেকে ছাড়তে চাইবে তাদের মধ্যে সাধারণ একজন শ্রমিকও সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা ক্যাশ নিয়ে যেতে পারবেন।
এমন অসংখ্য সুবিধা তারা তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে থাকে। অথচ দেশীয় অনেক কোম্পানি শত কোটি টাকা লাভের পরেও ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দিতে গিয়ে ফকিন্নির মত কান্নাকাটি করে।
ভদ্রবেশী মুর্খ চোরগুলো এটাও জানে না যে বাটা একটি ইউরোপীয় কোম্পানি। গণহারে চুরির এ কাহিনির পর এখন যদি বাটা তাদের কারখানা অন্যদেশে সরিয়ে নেয় তখন কাকে দোষারোপ করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url