কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ


কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ? যারা কানাডায় যেতে চান টুরিস্ট হিসেবে কিংবা ওয়ার্কার হিসাবে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি একজন টুরিস্ট হিসেবে কানাডা কিভাবে যাবেন ভিসা কিভাবে প্রসেসিং করবেন কত টাকা খরচ হবে। 
কানাডা-ভিসা-ফি-ফ্রম-বাংলাদেশ
সে সম্পর্কে আলোচনা করবো আবার যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য চেষ্টা করছেন তাদের জন্য যে সকল কাজগুলো করতে হয়।যে যোগ্যতা লাগে সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। তো আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্র: কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ

কানাডা ভিসা ফি ফর্ম বাংলাদেশ? যাদের কানাডা যাওয়া স্বপ্ন কিংবা কানাডা ট্যুর করার স্বপ্ন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই আর্টিকেলটি আমি টু এর জন্য কানাডা যাওয়ার প্রস্তুতি ও নিয়মাবলী সম্পর্কে আলোচনা করব আবার ওয়ার্ক পারমিট মানে ওয়ার্কার হিসেবে কানারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে নিয়ে আলোচনা করব। আরো আলোচনা করব কাদানা দিতে কত টাকা খরচ হয় সেই সম্পর্কে। 
কানাডা যেহেতু একটি উন্নত দেশ সেজন্য বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার অনেক নিয়মাবলী আছে যেগুলো মেনে যদি আপনি যেতে পারেন কিংবা সেই যোগ্যতাটা যদি আপনার থাকে সেক্ষেত্রে গান আপনি যেতে পারবেন। তার আগে আপনি কানাডা ভিসা ফ্রম পূরণ করেও কোন লাভ নেই। আমাদের দেশের অনেক নিয়মাবলী আছে যেহেতু উন্নত একটি দেশ। টুরিস্ট ভিসায় যদি কিছুদিনের জন্য ভ্রমণ করতে যান কিংবা বেড়াতে যান সে ক্ষেত্রে আপনার অল্প টাকা খরচ হলেও আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স অনেক বেশি থাকা লাগবে। যদি আপনি টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন এবং আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স যদি কম থাকে তাহলে আপনি টুয়েলস বেজার আবেদন করলেও তারা আপ্রুভ করবে না।

কানাডা ভিসা ফি কত 

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ? এমন অনেকে আছেন যারা কানাডাতে যাওয়ার ইচ্ছা কিন্তু কানাডাতে যেতে শুধু ভিসার ফিটা কত লাগে সে সম্পর্কে কারো আইডিয়া নাই কিংবা অনেকে আছেন জানেন না। তুই সেকশনে আমি সম্পূর্ণভাবে বলে দিব কানাডাতে যাওয়ার জন্য ভিসা ফ্র কত টাকা প্রয়োজন। আরো জানবো কানাডার টাকা সমান বাংলাদেশের টাকার রেট। কারণ টুডেস ভিসা আবেদনের জন্য বাংলাদেশি টাকায় আপনার থেকে ভিসার ফরমের টাকা নিবে না আপনার থেকে ওদের দেশের টাকা রেট অনুযায়ী ভিসার টাকাটা নিবে। তো নিচে দেখে নিন কানাড়া ভিসা ফি কত টাকা প্রয়োজন:

একজন টুরিস্ট হিসেবে যদি আবেদন করেন তাহলে ওই দেশের ১০০ CAD বায়োমেট্রিক্স ৮৫ CAD মোট = ১৫০ CAD
বাংলাদেশী টাকা হিসাব করলে  ১৫০*৮৮.০৯ = ১৩২১৩.৫ টাকা।

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে ভিসা খরচ হবে ১৫০ CAD বায়োমেট্রিক্স ৮৫ CAD মোট = ২৩৫ CAD বাংলাদেশি টাকা হিসাব করলে ২৩৫*৮৮.০৯ = ২০৭০১.১৫ টাকা 

আবার আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে ভিসা খরচ হবে ১৫৫ CAD বায়োমেট্রিক্স ৮৫ CAD মোট = ২৪০ CAD বাংলাদেশি টাকা হিসাব করলে ২৪০*৮৮.০৯ =২১১৪১.৬ টাকা 

আবার আপনি যদি এক্সপ্রেস এনটি ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে ভিসা খরচ হবে অনেক টাকায় কারণ এটার ভিসা খরচ অনেক বেশি দেখতাছি তাও আপনাদের দেখায়। ১৩৬৫ CAD বায়োমেট্রিক্স ৮৫ CAD  মোট = ১৪৫০ CAD বাংলাদেশী টাকা হিসাব করলে ১৪৫০*৮৮.০৯ = ১,২৭,৭৩০.৫ টাকা

আশা করবো এখন আপনারা সবাই হয়তো বুঝতে পারবেন যে কানাডা ভিসা ফ্রি কত টাকা প্রয়োজন এবং কত টাকা লাগে। এবার এটি যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে করে থাকেন তাহলে আরও বেশি পরবে। আবার এটা যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে করে থাকেন তাহলে আরও বেশি পড়বে। আর সরকারিভাবে করে থাকলে এটা থেকে হয়তো কিছু কমেও পেতে পারেন কিন্তু এটা থেকে বেশি লাগবে না।

টুরিস্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া 

যারা বাংলাদেশ থেকে কানাডাতে ভ্রমন করতে চান তাদের জন্য এই সেকশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ই সেকশনে আমি একজন টুরিস্ট ভিসা কিভাবে আবেদন করবে সে সম্পর্কে ও আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন সে সম্পর্কে সকল নিয়ম-কানুন বলে দেবো সে শুনে তো চলুন জেনে নেয়া যাক আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে। প্রথমত টুরিস্ট ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে ওই দেশের কোন একটি অনুষ্ঠান কিংবা আপনার কোন পরিচিত ব্যক্তি থাকলে তার সাথে দেখা করতে ধর্মীয় কোন উৎসবের জন্য যদি যেতে চান সেক্ষত্রে আপনি টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন। অন্যথায় আপনি যদি সরাসরি বলেন ট্যুরের জন্য আমি যাব সে ক্ষেত্রে আপনি আবেদন করতে পারবেন না। আবেদন করার জন্য যে সকল ডকুমেন্টগুলা লাগবে সেগুলো হল। 
  • অনলাইনে যথাযথভাবে ফরমটি পূরণ করে ফর্মটি সাবমিট করুন ও পেমেন্টটি করুন 
  • ফোনটিতে আপনার স্বাক্ষর প্রয়োজন 
  • দুই থেকে তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ল্যাপটেন ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা 
  • আপনার পাসপোর্ট এর দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠার ছবি ও ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে আরো সামনের পেছনের ছবি সহ যে কয়টা কপি হয় সেগুলো জমা দিতে হবে 
  • আপনার বৈধ বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সহ আপনি যদি দেশে হোটেল বুকিং করেছেন সে হোটেল বুকিং এর কাগজপত্র গুলো ফটোকপি দিতে হবে 
  • গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে 
  • বিমান টিকিট বুকিং দিতে হবে 
  • আবেদনকারীর ব্যক্তিগত আবেদন জমা দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করতে হবে 
  • আপনি ওই দেশে যাচ্ছেন ওই দেশে আপনাকে কে স্পন্সর করেছে কিংবা কেউ নিয়োগ করেছে কি সেটির একটি কপি কিংবা সুপারিশপত্র।
আশাকরি আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে টুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য কি কি প্রয়োজন এবং কোথায় থেকে আবেদন করতে হবে। আপনি যে কোন কম্পিউটারের দোকানে কিংবা কোন কম্পিউটার জোনে গিয়ে যদি বলেন কানাডা টুরিস্ট ভিসার আবেদন করব তাহলে ওরা সুন্দরভাবে আপনাকে টুরিস্ট ভিসার আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে দিবে এবং ফন্টে সুন্দরভাবে পূরণ করে আপনাকে আপনার জেলার ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কিছুদিনের মধ্যে ভেরিফাই করার জন্য আপনার ফোনে নোটিফিকেশন দিবে কিংবা ওরা এসে ভেরিফিকেশন করে যাবে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ফি কত

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ? আজকে আমরা আর্টিকেলে এটা সম্পর্কে জেনেছি আরো জেনেছি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ফি কত সে সম্পর্কেও কিন্তু জেনেছি। তারপরও আমি আবারও এখানে কিংবা এই সেকশনে সুন্দরভাবে আবারও বুঝিয়ে দিবো যে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ফি কত টাকা লাগবে কিভাবে ফ্রি প্রদান করতে হবে সম্পর্কে সুন্দরভাবে আবারও এইখানে বুঝিয়ে দিবো। নিচে দেখে নিন যে কানাডা ওয়ার্ক ভিসার ফি কত টাকা লাগে। 
ওয়ার্ক পারমিট হিসেবে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার ভিসার খরচ যেতে হবে:
  • ভিসার খরচ = ১৫৫ ডলার কিংবা ক্রেডি 
  • বায়োমেট্রিকস ফি = ৮৫ ডলার কিংবা ক্রেডি 
  • মোট ওই দেশের= ২৪০ ডলার কিংবা ক্রেডি 
  • ওই দেশের ক্রেডিট কিংবা ডলার বাংলাদেশে বর্তমান রেট ৮৮.০৯ টাকা 
  • তাহলে বাংলাদেশী টাকা হিসাব করলে মোট = ২৪০*৮৮.০৯ = ২১,১৪১.৬ টাকা 
তাহলে এখন হয়তো আরো সহজ ভাবে বুঝে গেলেন যে একজন ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য ফ্রি কত টাকা সে সম্পর্কে খুব সহজভাবে এখানে বুঝে গেলেন। এখন চাইলে আপনারা নিজে ঘরে বসে ফিতা প্রদান করতে পারেন আবার যদি মনে করেন যে সরকারি ভাবে করবো সেটাও করেন। যেভাবে সুবিধা হয় কিভাবে করুন আবার নিচে আরো ভালো করে বুঝায় দিব কিভাবে আবেদন করবেন ও কিভাবে নিজের ফোন থেকে ফি প্রদান করবেন কি সম্পর্ক বিস্তারিতভাবে নিচের সেকশনে আলোচনা করব।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া

আমরা ইতিমধ্যে ওপরে সেকশনে জেনে এসেছি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন ফ্রি কত খুব সহজভাবে জেনে এসেছি। তাহলে আর এখানে আমাকে ফ্রী কত এ সম্পর্কে আলোচনা করা লাগছে না এখন শুধু এখানে আলোচনা করব আমি আপনি কিভাবে ওয়ার্কারের ভিসার আবেদন করবেন এবং কিভাবে ফ্রি প্রদান করবেন সে সম্পর্কে। তো প্রথমে বলে দি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের জন্য আপনি যদি মনে করেন আপনার স্থানীয় বাজারে থেকে আবেদন করতে পারবেন আবার যদি মনে করেন যে সরাসরি ভিসা অফিসে এসে আবেদন করব সেটাও পারবেন। কিন্তু আপনার স্থানীয় বাজারে থেকেও যদি করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিসা অফিসে আসতেই হবে।
কানাডা-ভিসা-ফি-ফ্রম-বাংলাদেশ
আপনি যদি আপনার এলাকাতে আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে আপনার স্থানীয় বাজারে যে কোন কম্পিউটার জোনে কিংবা যেখানে ইন্টারনেটের কাজ করা হয় সেখানে গিয়ে যদি আপনি বলেন যে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে দিতে তাহলে তারা আপনাকে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে ফর্মটি ডাউনলোড করে দিবে। এবং আপনাকে ফরমটি নিখুঁতভাবে সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে পূরণ করে সেই ফর্মটি আপনার জেলার যে ভিসা অফিস আছে সেই ভিসা অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। কিংবা আপনি যদি ফোনটি নিখুঁতভাবে পূরণ করে থাকেন তাহলে যদি মনে করেন যে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ফর্মটি পাঠিয়ে দেবেন সেটাও পারবেন। তাহলে এখন হয়তো বুঝতে পারলেন যে, কিভাবে ভিসার আবেদন করবেন। 

বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিসা ফি কিভাবে দিতে হয়

এটা একটি ভালো প্রশ্ন যে বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিসা ফি কিভাবে দিতে হয়। এটা হয়তো অনেকেই জানেন না যে বাংলাদেশে বসে থেকে কানাডার ভিসার ফি কিভাবে দেখতে হয় তো আজকে আমি এই সেকশনে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিব যে আপনি বাংলাদেশে বসে থেকে কানাডার ভিসা আবেদন করে ভিসা ফি কিভাবে প্রদান করবেন সে সম্পর্কে তো চল নিচে সুন্দরভাবে জেনে নেয়া যাক যে বাংলাদেশে বসে থেকে কানাডার ভিসা ফি কিভাবে প্রদান করা যায়।

  • আপনার যদি ক্রেডিট কার্ড থেকে থাকে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ভিসা ফ্রি প্রদান করতে পারবেন 
  • আবার যদি ভিসা কার্ড কিংবা মাস্টার কার্ড থাকে সেক্ষেত্রেও পারবেন 
  • এই দুইটার যদি কিছুই না থাকে তাহলে হয়তো ভিসা ফিয়ের থেকে কিছু টাকা বেশি দিয়ে আপনাকে অন্য একজনের মাস্টার কার্ড কিংবা ভিসা কার্ড দিয়ে ফ্রিতে প্রদান করতে হবে। 
  • আবার মনে করলে আপনি আপনার স্থানীয় ব্যাংকে গিয়েও ভিসা ফি টি প্রদান করতে পারবেন 
  • বাংলাদেশ থেকে এই তিনটি প্রক্রিয়াতে কানাডায় ভিসা ফি প্রদান করা হয়।
কানাডা যেহেতু একটু উন্নত দেশ সেজন্য বাংলাদেশের লোকাল যে সকল অ্যাকাউন্ট গুলা আছে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে কানাডার হিসেবে প্রদান করা যায় না। ইন্টারন্যাশনাল যে সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ড আছে সেগুলো দিয়ে আপনি ভিজাবি প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি না থাকে তাহলে তো বলে দিলাম যে যার আছে তাকে অল্প কিছু টাকা বেশি দিয়ে তার থেকে প্রদান করে নিতে হবে। এবং ভিসা ফি প্রদান করার পরে একটি মানি রিসিপ দিবে সে কি সংগ্রহ করতে হবে। আপনি যদি ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড দিয়ে করেন তাহলে একটি পিডিএফ আকারে ফাইল ডাউনলোড করে রাখতে হবে এবং ব্যাংকের মাধ্যমে করলে ব্যাংক থেকে একটি রিসিভ দিবে সে রিসিভটি সংগ্রহ করে রাখতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিজিট ভিসা করতে কত ব্যাংক ব্যালেন্স লাগে

এই সেকশনটি যারা বাংলাদেশ থেকে কানাডায় ভিজিট করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য অনেক প্রয়োজন হবে। কারণ অনেকেই জানেন না বাংলাদেশকে কানাডা ভিজিট করার জন্য আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স কিন্তু মেন। তাই আজকের এই সেকশনটিতে আমি আপনি বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিজিট করার জন্য আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স সর্বনিম্ন কত টাকা হওয়া লাগবে এবং সর্বোচ্চ কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কের সুন্দরভাবে আমি আলোচনা করব। তো নিচের প্যারাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করুন এবং জেনে নিন। 
প্রথমত আপনি যদি সিঙ্গেল যান তাহলে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে কমপক্ষে একজনের জন্য পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা। এর থেকে বেশি যদি হয় তাহলে ভালো এবং আপনি যদি ফ্যামিলি সহকারে যান তাহলে জনপ্রতি কমপক্ষে ৬ লক্ষ টাকা করে ধরে রাখতে হবে। যেমন আপনার ফ্যামিলিতে যদি চারজন থাকে তাহলে কমপক্ষে আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ২৪ লক্ষ টাকা এবং অতিরিক্ত ২০ লক্ষ টাকা থাকা লাগবে। তার মানে টোটালে এসে দাঁড়াচ্ছে যে আপনারা যদি ফ্যামিলি সহকারে যান তাহলে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স অন্তত ৪০ লক্ষ টাকা থাকাই লাগবে তাহলে আপনি আপনার ফ্যামিলিসহ টুর করতে পারবেন অনায়াসে। কোন সমস্যা হবে না। এবং আপনি যদি সিঙ্গেল যান তাহলে আপনার কমপক্ষে ব্যাংক ব্যালেন্স থাকা লাগবে পনেরো লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকার মধ্যে। 

বাংলাদেশ থেকে কানাডা ট্যুর করতে গেলে সর্বমোট কত টাকা খরচ হবে

এটাও একটি ভাল প্রশ্ন যে বাংলাদেশ থেকে কানাডা টুর করতে গেলে সর্বমোট কত টাকা খরচ হবে। অনেকের মাথায় থাকে না এর জন্য এই আইডিয়াটি আমি অল্প কিছু কথার মাধ্যমে স্থাপন করব এবং বোঝানোর চেষ্টা করব। প্রথমত আমরা কানাডা ট্যুরের জন্য হিসাব করে থাকি যে। 

  • ফ্লাইট ভাড়া 
  • হোটেলের খরচ 
  • খাওয়া-দাওয়ার খরচ 
  • ঘোরাঘুরির খরচ 
  • ভিসা ফি প্রদান ও অন্যান্য সকল খরচ 
  • শপিং খরচ এবং 
  • অতিরিক্ত কিছু টাকা যদি ইমারজেন্সি কাজে লাগতে পারে
সাধারণত আমরা যদি কানাডায় টুর এর জন্য যায় তাহলে আমাদের এভাবে হিসাব করতে হয়। এখন কথা হচ্ছে হিসাব প্রক্রিয়া তো জানলেন একটি খরচ হবে কেমন সে সম্পর্কে হয়তো জানলে ভাল হত তাই তো। 
যদি আপনি সিঙ্গেল যান ১০ দিনের ট্যুরের আনুমানিক হিসাব:
  • প্লেন ভাড়া ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা 
  • ভিসা ফি ১৩০০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা 
  • হোটেল ভাড়া এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা 
  • খাওয়া দাওয়া ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা 
  • শপিং খরচ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা 
  • ঘোরাঘুরির জন্য ১ লক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা 
  • এবং অতিরিক্ত কিছু ইমার্জেন্সির জন্য যদি ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা রাখতে পারেন
নিচে দশ দিনের  টুর করার জন্য করার জন্য আনুমানিক একটি হিসাব দিয়েছি। এখন হিসাবটি যে সঠিক হবে এমনটা না। এর মধ্যে সকলের খাওয়া-দাওয়া চলাচল এবং খরচের হাতটা এক না যাদের যেমন খরচ। কিন্তু একটা কথা দেশের বাইরে যদি যাই যে কেউ টাকা খরচ করতে যাই এর জন্য একটু বেশি বাজেট হলে ভালো হয়। হিসাবটা দিয়েছি এটা কিন্তু আমি আনুমানিক দিয়েছি এখন এর থেকে হয়তো কিছু কমও লাগতে পারে আবার কিছু বেশিও লাগতে পারে এটা আপনাদের উপর ডিপেন্ড করবে আপনাদের খরচ করার উপর ডিপেন্ড করবে।

কানাডা ভিসা প্রসেসিং টাইম ২০২৫

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ? এটা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে এই আর্টিকেলটি পড়ে সম্পূর্ণ জেনে এসেছি এখন আমরা আরও জানব যে কানাডা ভিসা প্রসেসিং টাইম ২০২৫। যেহেতু ২০২৪ সালে অন্য একটি সরকার ছিল এজন্য সেটার ভিসা প্রতিদিন টাইম এক ছিল এখন ২০২৫ সালে এসে নতুন সরকারের নিয়ম চেঞ্জ হতে পারে এটা স্বাভাবিক বিষয়। এজন্য অনেকে প্রশ্ন করেছে কানাডা ভিসা প্রসেসিং টাইম কি আইডি দিয়ে সময় লাগতো সে সময় আছে না নতুন সরকারের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে কিংবা কমানো হয়েছে। তো আজকে আমি এই সম্পর্কই সেকশনটিতে আলোচনা করব তো নিচে দেখে নিন যে কানাডা ভিসা প্রসেসিং টাইম 
কতদিন লাগে:
আমরা ২০২৫ সালের আপডেট অনুযায়ী পেয়েছি যে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিসা আবেদনের সময় সাধারণত আড়াই মাস থেকে তিন মাস সময় লেগে থাকে। আবার কাজ যদি কম থাকে ভিসা অফিসে তাহলে আরো কম সময়ের ভেতরে ভিসার কাজটি সম্পন্ন হয়ে যায়। আবার ২০২৪ সালে কিন্তু আমরা বায়োমেট্রিক্স ফি দেয়ার পরে কমপক্ষে দুই থেকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং কমপ্লিট হয়ে যেত এবং ভিসা আবেদনের জন্য কমপক্ষে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতো। তাহলে ২০২৫ সালে এসে সকল নিয়ম চেঞ্জ হয়ে এখন আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে সকল কাজ কমপ্লিট করে দিতাছে ভিসা অফিস। তাহলে হয়তো বুঝতে পারলেন যে ২০২৫ সালে এসে ভিসা প্রসেসিং টাইম কতদিন লাগে।

কানাডা ভিসা আবেদনের নিয়ম

আমরা এই আর্টিকেলটি পড়ে ইতিমধ্যে জেনে এসেছি কানাডা ভিসা আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে। জেনেছি যে ওয়ার্ক পারমিট হিসেবে কিভাবে যাওয়া যাবে টুরেস্ট হিসেবে কিভাবে দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো কিংবা এটা অনেকেরই প্রশ্ন যে কানাডা ভিসা আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে। তো কানাডা ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে প্রথমত কানাডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকে ওখানে কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে কিংবা আবেদন ফরম থাকবে সেই আবেদন ফর্মটি ডাউনলোডও করে নিতে পারবেন। 
কানাডা-ভিসা-ফি-ফ্রম-বাংলাদেশ
এবং ফরমটি ডাউনলোড করে সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে পূরণ করে সে ফর্মটিকে আবার আপনাকে ভিসা অফিসে প্রসেসিংয়ের জন্য দিতে হবে। নির্ভুলভাবে পূরণ করে ভিসা অফিসে দেয়ার পরে আপনাকে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করা লাগবে। এবং আড়াই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করার পরে আপনাকে হয়তো ওরা ফোন দিয়ে জানাই দিবে কিংবা আপনার নিজ বাসা ভেরিফাই করার জন্য লোক আসবে। সকল তথ্য অনুযায়ী যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনাকে কানাডার ভিসা প্রদান করে দিবে। কিংবা আপনি চাইলে কখন কানাডাতে যেতে পারবেন। তাহলে হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে কানাডা ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন আর ২০২৫ সালে এসে সে একই নিয়মে আবেদন করতে পারবেন।

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ - উপসংহার

আজকে আমরা এই আর্টিকেলটি পড়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি এর মধ্যে জানতে পেরেছি কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ। আরো অনেক কিছুই জেনেছি যে একটি সাধারন লোক কানাডায় কিভাবে চুলের জন্য বেড়াতে যাবে ওয়ার্ক পারমিট হিসেবে কাজের জন্য যাবে সে সকল সম্পর্কে বলেছি এবং কত টাকা খরচ হবে সে সম্পর্কেও অনেক কিছুই বলেছি। এখন আমি আশা করব যে আপনারা যদি কানাডাতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনাদের সম্পূর্ণ ধারণা হয়ে যাবে এবং এই আর্টিকেলটির মধ্যেই কানাডা যাওয়ার সকল নিয়মকানুন সম্পর্কেও আলোচনা করা আছে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের উপকারী হবে। 
এখনই আর্টিকেলের মধ্যে আমার মন্তব্য রয়েছে যে আপনারা যারা কানাডাতে টুরের জন্য বেড়াতে যেতে চান তাহলে আপনাদের প্রথমত ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর সঠিক প্রমাণ দিতে হবে শুধু যে ব্যাংক স্টেটমেন্টের একটি কাগজ ধরে দিবেন সেটা হবে না আপনাকে যে এমাউন্ট আছে সে সকল এমাউন্টের প্রমাণসহ আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্টের সকল তথ্য হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। তার পরে গান আপনি একজন কানাডায় ভ্রমনকারী হিসেবে হয়তো ভিসা পেতে পারেন। আবার কানাডা থেকে কি উন্নত দেশ সেক্ষেত্রে আপনার যদি কানাডা যাতে খরচ হয় সাপোর্ট ১০ লক্ষ টাকা তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স থাকতে হবে মিনিমাম ২৫ লক্ষ টাকা। তা না হলে আপনি সে দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url