ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস কমানোর ৫টি উপায়


ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত রক্তে শতকরা মান্তায় নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ও সুষম খাদ্য আহার সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ডায়াবেটিস-রোগীদের-খাদ্য-তালিকা
আবার কি কি করলে ডায়াবেটিস কমানো যায় ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে সম্পর্কেও এই আর্টিকেলে আজকে আলোচনা করব। আর ডায়াবেটিস কমানোর ৫টি উপায় সম্পর্কে ও বিস্তারিত আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্র: ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা? একজন ডায়াবেটিস রোগীর যেসব খাবার সেবন করা যাবে। আবার একজন ডায়াবেটিকস রোগীর প্রতিদিনের যে সব খাবার খাওয়া যাবে ও কোন সময় খাবার গুলো খেলে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ভালো হয় ও ডায়াবেটিস রোগীর উপকার হয়। এমন কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করব। আর একটা কথা একজন ডায়াবেটিস রোগী যদি নিয়ম করে না চলে কিংবা নিয়ম মেনে না চলে তাহলে তার অনেক সমস্যা হতে পারে ও তার শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই ডায়াবেটিক্স কন্ট্রোলে রাখার জন্য নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে জেনে নিন। 

একজন ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা যেমন হবে: 
  • একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন একই খাবার গ্রহণ করা যাবে না। 
  • দিনের নিয়মিত তিনবার খাবার খেতে হবে। 
  • সময় মত খাবার খেতে হবে
  • প্রতিদিন সকালে রুটি খেতে হবে লাল আটার রুটি 
  • প্রতিদিন রাতেও রুটি খেতে হবে লাল চালের 
  • প্রতিদিন দুপুরে ভাত খেতে হবে অল্প পরিমাপে 
  • খাবার খেলেও খুব বেশি খাবার খাওয়া যাবেনা 
  • নেশা জাতীয় কোন খাবার খাওয়া যাবেনা 
  • চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা 
  • মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে অনেক ক্ষতি হতে পারে 
  • বেশি তেল যুক্ত খাবার কিংবা ভাজাপোড়া বেশি খেলে সমস্যা হবে 
উপরে যে খাদ্য তালিকা টা দিয়েছি। সেই তালিকা অনুযায়ী আপনাকে প্রতিদিন না খেলেও হবে কিন্তু চেষ্টা করতে হবে যে প্রতিদিন খাবার। যখন দেখছেন যে আপনার ডায়াবেটিস অনেক বেশি হারে বেড়ে গেছে তখন আপনি কি করতে পারেন এক সপ্তার জন্য এই খাদ্যগুলো গ্রহণ করতে পারেন। যখন আবার দেখবেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে তখন চাইলে এই খাবারের বাইরে অন্যান্য খাবার খাইতে পারবেন। কিন্তু একজন ডায়াবেটিকস রোগীর উপরে যে খাদ্য তালিকা দিয়েছি এ খাদ্য তালিকা অনুযায়ী প্রতিদিন খাদ্য গ্রহণ করায় তার জন্য ভালো। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে অনেক সমস্যা হয়। তাই চেষ্টা করবেন উপরের খাদ্য তালিকা অনুযায়ী খাবার খাওয়ার ও নিয়ম গুলো মেনে খাবারগুলা খাবেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের নিষিদ্ধ কিছু খাবার 

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও ডায়াবেটিস রোগীর যে সকল খাদ্যগুলো খাওয়া যাবে না সে সকল খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা করব ও কিছু নিষিদ্ধ খাবার সম্পর্কে বলব। এখন কথা হচ্ছে একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। কারন আপনি যদি খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন কিংবা নিষিদ্ধ খাবার যদি খান তাহলে আপনার ডায়াবেটিস হুট করে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ও হুট করে ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে আপনার অনেক সমস্যা হতে পারে। যে কারণে আজকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু নিষিদ্ধ খাবার ও নিষিদ্ধ ফলের নাম গুলা বলবো।
  • মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া নিষেধ 
  • অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া নিষেধ 
  • আলু খাওয়া যাবে পরিমাপ মতো আলু খেতে হবে 
  • গরুর মাংস খাওয়া যাবেনা খেলে অল্প পরিমাতে খেতে হবে 
  • মিষ্টি জুস খাওয়া যাবে না 
  • এনার্জি ড্রিংকস খাওয়া যাবে না 
  • সোডা যুক্ত খাবার কিংবা সোডা খাওয়া যাবেন
  • আম, আঙ্গুর খাওয়া যাবেনা ও 
  • আনারস, কলা, তরমুজও খাওয়া যাবেনা
  • পনির কিংবা মিষ্টি জাতীয় যে সকল পানিও খাবার পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়া যাবে না
একটা ডায়াবেটিস রোগীর খাবার নিয়ন্ত্রণের জন্য এই উপকার খাবার গুলো একদমই খাওয়া যাবেনা। উপরের যে সকল খাবার গুলা নাম বলা আছে সে সকল খাবার একটি ডায়াবেটিস রোগী যদি প্রতিনিয়ত কিংবা প্রতিদিন সেবন করে থাকেন তাহলে আজ থেকে এসব খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে দিন। কারণ এসব খাবার ফলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায় ও আপনার অনেক ক্ষতি হয়। আর প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন ও নিয়মিত খাবার সেবন করুন। এখন আপনি যদি জেনেও যে খাবার আমার নিষিদ্ধ খান তাহলে পরবর্তীতে বিপদ হতে পারে ও বিপদ হলে আপনারই সমস্যা হবে ও আপনারই কষ্ট হবে। তাই চেষ্টা করবেন এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলার এতে আপনার খুবই ভালো।

ডায়াবেটিস রোগীদের যেসব খাবার খেলে উপকার হবে 

ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা ও একজন ডায়াবেটিস রোগীর যে সকল খাবার খেলে ও যে সকল ফলমূল খেলে উপকার হবে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত এই সেকশনে আলোচনা করব। শুনে আলোচনা করেছি যে সকল খাবার খেলে ক্ষতি হবে ও কিছু ক্ষতিকর ফলের নামও বলে দিয়েছি যেগুলো খেলে একজন ডায়াবেটিস রোগীর অনেক সমস্যা হবে ও ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া সম্ভবনা বেশি থাকে। আমি বলব যে একজন ডায়াবেটিস রোগীর কেমন খাবার সেবন করলে কি উপকার হবে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর কি সকল খাবার খাওয়া যাবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে 
  • শাকসবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে 
  • নিয়মিত একই সময়ে খাবার সেবন করতে হবে 
  • প্রতিদিন তাজা ফল খেতে হবে ও 
  • খাদ্য তালিকায় অন্তত তিন ধরনের তাজা সবজি প্রতিদিন রাখতে হবে 
  • আপেল খেতে পারেন 
  • পেয়ারা খেতে পারেন 
  • দুধ খেতে পারেন ও দুধ দিয়ে তৈরি কিছু খাবার খেতে পারেন 
  • প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে পারেন যেমন ডিম, মাছ, মাংস তবে নিয়ন্ত্রণের ভেতরে খেতে হবে 
  • মাটির নিচের আলু খাওয়া যাবে না যেগুলোকে গড় আলু বলা হয়
একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপরের দেয়া এই খাবারগুলো খাওয়া খুবই উপকারী। একজন ডায়াবেটিস রোগী যদি নিয়মিত এই খাবারগুলো সেবন করে তাহলে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক সহায়তা করবে ও অনেক উপকার হবে। তাই উপরের কিছু খাবার চেষ্টা করতে হবে যে প্রতিদিন খাবার যেমন পেয়ারা। আপনি যদি পারেন তাহলে পেয়ারা প্রতিদিন অন্তত একটা থেকে দুইটা খাবেন। একজন ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত দুইটা করে পেয়ারা খেলে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেয়ারা অনেক সহায়তা করবে। আবার হ্যাঁ একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য তাজা শাকসবজি অনেক উপকারী তাজা শাকসবজি প্রতিদিন সেবন করলে কিংবা গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস বাড়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।

ডায়াবেটিস রোগীদের নিষিদ্ধ কিছু ফলের তালিকা

ডাইবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও একজন ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ কিছু ফলের নাম। যে ফলগুলো একজন ডায়াবেটিস রোগী সেবন করলে যে যে ক্ষতি হবে সে বিষয়ে আলোচনা করব। এই ফলগুলোর ভয়ংকর রূপগুলো জেনে নেব। চলুন জেনে নেয়া যাচ্ছে একজন ডায়াবেটিস রোগীর যেসব ফল খেলে ক্ষতি হবে সেসব ফলগুলোর নাম।
  • কাঁঠাল খাওয়া যাবে না 
  •  পাকা কলা খাওয়া যাবেনা 
  • পাকা আম খাওয়া যাবে না 
  • আঙ্গুর ফল খাওয়া যাবে না 
  • লিচু খাওয়া যাবে না ও 
  • সাথে আনারসও খাওয়া যাবেনা 
  • আবার পাকা পেঁপেও খেতে পারবেন না 
  • খেজুরও খাওয়া যাবেনা খেজুর অনেক মিষ্টি জাতীয় খাবার 
  • কিসমিস খাওয়া যাবেনা 
  • পাকা বেল খাওয়া যাবেনা 
  • সবেদা ফল খাওয়া যাবে ন
একজন ডায়াবেটিস রোগী যদি এই নিষিদ্ধ খাবার গুলো সেবন করে থাকে তাহলে তার অনেক সমস্যা হতে পারে যেমন এই ফলগুলো খেলে কিংবা মিষ্টি জাতীয় ফল খেলে খুব দ্রুত তার শরীরের রক্ত শোষিত হয়ে যায় এর ফলে রক্ত শতকরা মাত্রায় কমে গিয়ে অনেক ঝুঁকিপূর্ণতা অবস্থায় পৌঁছাতে পারে। আবার আপনাকে ইন্সুলেন্সও নিতে হতে পারে আর ইনসুলেন্স কখন নেয় এটা অবশ্যই আপনি জানেন যে। একজন ডায়াবেটিস রোগী নিয়ন্ত্রণে না চললেই ইনসুলেন্ট নিতে হয়। তাই উপরের দেয়া খাবারগুলো থেকে এড়িয়ে চলুন ও এসব খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। এসব খাবার খেলে অনেক ক্ষতি হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

ডাইবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়। একজন ডায়াবেটিস রোগী তার ডায়াবেটিস কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবে সে সম্পর্কে কিছু কথা বলব ও কিছু টিপস বলে দেবো যে এগুলো করলে কিংবা এগুলো খেলে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তো চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক যে ডায়াবেটিস কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ও ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জেনে নেয়া যায়। আবার ইতিমধ্যে আমরা জেনে এসেছি যে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। এখন ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খাদ্য তালিকা ফলো করতে হবে আবার এর বাইরেও কিছু টিপস আপনাদের বলে দিন সেগুলো জেনে নিন। 
ডায়াবেটিস-রোগীদের-খাদ্য-তালিকা
সুষম খাদ্য পরিমাপ মত গ্রহণ করুন যেমন শাকসবজি ডাল লাল চাল ও লালাটা রুটি বেশি খান। আবার খাবারের সঙ্গে সালাত খান বেশি বেশি করে যেমন টমেটো সালাদ শসার সালাত আরো অনেক যে সকল সালাত গুলো আছে সে সকল সালাতগুলো খান। ডায়াবেটিস রোগীর নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রতিদিন প্রয়োজন। আপনার যদি ডায়াবেটিকস থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ মিনিট হাটাহাটি করুন ও আপনি যদি ব্যায়াম না করতে পারেন তাহলে কমপক্ষে প্রতিদিন 20 থেকে 50 মিনিট সাইকেল চালানো। ব্যায়াম না করে সাইকেল চালালেও ব্যায়াম হয়। নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করুন ও ইনসুলিন যদি নেন সময় মতো ইন্সুলেন্স নিন। নিয়মিত ডায়াবেটিস চেকআপ করুন ও মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায় ও অনেক সমস্যা হয়।

ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার কিছু কারণ

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার কিছু কারণ। আজকে এই সেকশনে আমি ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার কিছু কারণ সম্পর্কে আলোচনা করব ও কি কি করলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করব। তো চলুন জেনে নেয়া যাক যে আপনার জীবন যাপনে কি কি কারণে ডায়াবেটিস বেড়ে যায় সেগুলো স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেয়া যাক। আবার আপনি ওষুধ ঠিকঠাকমতো খেলে হবে না ওষুধ খাওয়ার পরে যদি আপনি খাবার নিয়ন্ত্রণ না করেন তাহলে আপনার রক্তে যে চিনিটা উৎপন্ন হয় সে চিন্তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না। আপনি যদি খাবার নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন তাহলে আপনার রক্তে একটি চিনি উৎপন্ন হয়। সেই চিনি উৎপন্ন হওয়ার জন্য আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যায়।
> ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার কিছু কারণ এর মধ্যে হল অতিরিক্ত হারে মিষ্টি সেবন করলে কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। আবার বেশি খাবার খেলে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে না যেমন সাদা ভাত বেশি খেলে ময়দা লুচি পরোটা ও পাউরুটি যদি আপনি বেশি খান তাহলে এগুলো খেলে আপনার রক্তের দ্রুত চিনি উৎপন্ন করে ও আপনার ডায়াবেটিস তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। আপনি যদি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি না করেন ও ব্যায়াম না করেন সে ক্ষেত্রেও আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে। ডায়াবেটিকস বেড়ে যাওয়ার প্রধান একটি উৎস হলো অ্যালকোহল খাওয়া যেমন নেশা করা নেশা জাতীয় কোন কিছু সেবন করা সেগুলো খেলে ডায়াবেটিক অতি দ্রুত বেড়ে যায় ও আপনার রক্তে চিনি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে এতে আপনারই ক্ষতি হয়। আবার মানসিক চাপ কিংবা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের থাকে না অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায় ও আপনার শরীরের অনেক ক্ষতি হয়।

ডায়াবেটিক লো হয়ে গেলে কি করনীয় বা কি করবেন

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও ডাইবেটিস লো হয়ে গেলে কি করবেন সে সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন। ডায়াবেটিক্স যদি লো হয়ে যায় এতে অনেক সমস্যা হতে পারে যেমন ডায়াবেটিস লো হয়ে গেলে একটি রোগী মারাও যেতে পারে এর জন্য ডায়াবেটিস লো হয়ে গেলে কি করবেন বা কি করনীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে এই সেকশনটি ভালোভাবে পড়ে জেনে নিন। তো চলুন জেনে নেয়া যাক যে, ডায়াবেটিস রোগ হয়ে গেলে কি কি করনীয়। 

আবার আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি যে ডায়াবেটিক কমানোর  উপায় সম্পর্কে আবার এখানে একটা সমস্যা যে ডায়াবেটিক্স যদি আবার লো হয়ে যায় তাহলে তো অনেক সমস্যা হয় তাই ডায়াবেটিস যদি একবারে লো হয়ে যায় তাহলে আপনারা যা করবেন: 
  1. মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে 
  2. দুই থেকে তিন চামচ চিনি খাওয়াইয়া দিতে হবে 
  3. বা এক গ্লাস থেকে দেড় গ্লাস মিষ্টি জাতীয় ফলের শরবত খাওয়ে দিতে হবে 
  4. দুই চারটা ট্রাফিক এমডি খাইয়ে দিতে হবে 
  5. আবার যদি গ্লুকোজ ট্যাবলেট থাকে তাহলে সেটি খাওয়ায়ে দিতে পারেন 
এখন ডায়াবেটিক স্লো হয়ে গেলে এই খাবারগুলো খাওয়ায়ে দিবেন ও এই খাবারগুলো খাবার ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরে সুগারটি চেক করবেন। তখনো যদি সুগার লো থাকে তাহলে যে খাবারগুলো খাইয়েছেন সেগুলো আবারও খাওয়াবেন দিয়ে সুগারটি লেপে দেখবেন তখন দেখবেন সুগার লেভেল একটু উঠেছে। তাহলে বুঝতে পেরেছেন যে একজন ডাইবেটিস রোগীর যদি ডায়াবেটিস লো হয়ে যায় তাহলে কি কি করনীয় ও কি করবেন। ডায়াবেটিস যেমন বেড়ে গেলেও সমস্যা হয় তেমন আবার ডায়াবেটিস যদি লো হয়ে যায় তাতেও আবার সমস্যা হয়। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে যে সমস্যাটা না হয় তার থেকে বেশি ডায়াবেটিক যদি লো হয়ে যায় তাতে অনেক সমস্যা হয়ে যায় যেমন ডায়াবেটিক্স লো হয়ে গেলে একটি রোগী মারাও যেতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের আচার-আচরণ কেমন হওয়া দরকার

ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার তালিকা ও একজন ডায়াবেটিস রোগীর আচার-আচরণ কেমন হওয়া উচিত ও তার শরীরের জন্য আচার-আচরণ কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে জেনে নিন। এখন কথা হচ্ছে যে একজন ডায়াবেটিকস রোগীর আচার-আচরণেই কিন্তু অনেক উপকার আবার আচার-আচরণ যদি খারাপ হয় কিংবা বেশি উত্তেজিত হয়ে যায় তাহলে তার শরীরের রক্ত গরম হয়ে যায় তার ফলে রক্তে চিনে যোগায় যাতে ডায়াবেটিক বেড়ে যায়। তাই একজন ডায়াবেটিকস রোগীর আচার-আচরণ সবসময়ের জন্য ভালো হতে হবে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর আচার-আচরণ ভালো হওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ও সময়মতো সব কাজকর্ম করতে হবে যেমন। 
  • নিয়মিত ঘুম পাড়তে হবে ও ওষুধ সেবন করতে হবে 
  • সবকিছু সময় মতোই করতে হবে 
  • নিয়ম মেনে চললে শরীর থাকবে সুস্থ ও ভালো
আবার একজন ডায়াবেটিস রোগীর সচেতন থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি একজন ডায়াবেটিকস রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার যখন মাথা গরম হয়ে যায় কিংবা উত্তেজিত হয়ে যান তখন আপনাকে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করতে হবে যেমন শরীল ঠিকঠাক মতো নিয়ন্ত্রণ করা। অনিয়ন্ত্রণ হওয়া যাবে না তাতে আপনারই ক্ষতি ও বেশি উত্তেজিত হয়ে গেলে আপনি পস্তাবেন। কারণ বেশি উত্তেজিত হলে একজন ডায়াবেটিস রোগীর অনেক সমস্যা হয়।

আরেকটা কথা ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই মনে রাখবেন যে, নিয়ম সচেতনতা আর ইতিবাচক আচরণ যেমন ভালো ব্যবহার করা এটাই ডায়াবেটিস কন্ট্রোল রাখার সেরা উপায় কিংবা সেরা চাবিকাঠিও বলতে পারে। হার ভাই দ্যা ডায়াবেটিকস আছে সে নিয়মিত হাঁটাচলা করবেন নিয়মিত খাবার খাবেন ও রিল্যাক্স ও নিয়মিত করবেন মানে এখানে একটা কথায় কি যাই করবেন সময়মতো করবেন অনিয়মিত করবেন যেমন আজকে যদি আপনি দুপুর ১২ টার সময় খাওয়া-দাওয়া করেন কালকেও ঠিক বারোটার সময় করবেন বারোটার সময় করবেন মানে নিয়ম মেনে সব কিছু কাজ করতে হবে তাহলে আপনার জন্যই ভালো ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ রাখতে এটি খুব সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে কমানোর উপায় 

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা ও ডায়াবেটিকস বেড়ে গেলে কমানোর উপায় জেনে নিন। আবার আমরা ইতিমধ্যে জেনে এসেছি যে ডায়াবেটিক লো হয়ে গেলে কি করনীয় আবার এখানে আপনি প্রশ্ন করেছেন যে ডায়াবেটিক বেলে গেলে কমানোর উপায় এখানে আমরা জানবো যে ডায়াবেটিক বেড়ে গেলে কি করলে ডায়াবেটিকস কমবে। চলুন জেনে নেয়া যা যে ডায়াবেটিকস বেড়ে গেলে সে ডায়াবেটিস কিভাবে কমবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। 
  • নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে হবে 
  • খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে 
  • নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে 
  • নেশা করে থাকলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে 
  • আচার আচরণ ভালো করতে হবে ব্যবহার ভালো করতে হবে
  • শুকনা জাতীয় খাবার খেতে হবে 
  • ঠান্ডা আবহাওয়াতে বসে থাকতে হবে 
  • মাথা ঠান্ডা রেখে সবকিছু করতে হবে
আশাকরি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে কি কি কাজগুলো করলে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে আসবে। এখন কথা হচ্ছে ভাই যে শুধু এই কাজগুলা করলে যে নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন কোন কথা নেই। এখন আপনি যদি আপনার মনের ভেতরে ভয় রাখেন যে আমার ডায়াবেটিস বেড়ে গেল আমি কি করবো এমন কোন ভয় রাখা যাবে না। আপনি শুধু এই কাজগুলা করবেন ও নিশ্চিন্তায় আপনার যে কাজ সে কাজটি করবেন তাহলে দেখবেন যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে ও আপনার শরীর আগের থেকে ভালো হয়ে গেছে। তো বুঝতেই পেরেছেন যে ডায়াবেটিকস বেড়ে গেলে কি করবেন। 

হঠাৎ ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ 

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা ও ডায়াবেটিস কমানোর ৫টি উপায় সম্পর্কে আমরা মনে হয় কিছু হলেও জেনেছি।
এখন এই সেকশনে আলোচনা করব যে হঠাৎ ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ সম্পর্ক। আপনার  ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার আগে আপনার আচার-আচরণ ব্যবহার ও শরীরে কেমন ফিল করবেন সে সম্পর্কে এই সেকশনে আলোচনা করব। তো চলুন হঠাৎ ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার লক্ষণগুলো জেনে নেয়া যাক। আবার ডায়াবেটিস কমানোর ৫টি উপায় সম্পর্কেও আলোচনা করব। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার রক্তে গ্লুকোজ অস্বাভাবিক মাত্রায় বেশি হয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝতে পারবেন যে ডাইবেটিস বেড়ে গিয়েছে আবার এটা অনেক সময় ধীরে ধীরেও বার যার ফলে আপনি বুঝতে পারেন না যে আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে গেছে আবার ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার কিছু লক্ষণ নিচে দিয়ে দিলাম। 
  • ঘনঘন প্রসাদ হলে বুঝতে পারবেন ডায়াবেটিকস বেড়ে গেছে 
  • বেশি পিপাসা লাগলে 
  • অস্থিরতা কিংবা দুর্বলতা ফিল করলে 
  • অতিরিক্ত মাত্রায় খিদা লাগলে 
  • চোখে যদি ঝাপসা ঝাপসা দেখেন তাহলে 
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হলে কিংবা তাড়াতাড়ি নিঃশ্বাস ফেললে 
  • মাথা গরম হয়ে গেলে কিংবা মেজাজ খারাপ হলে 
  • মাথা ব্যথা করলে মাথা ঘুরালে 
  • শরীরের চুলকানি বেড়ে গেলে কিংবা চুলকানি হলে 
  • আপনি যদি মিষ্টি ফলের গন্ধ অনুভব করতে পারেন তাহলে
ডায়াবেটিস-রোগীদের-খাদ্য-তালিকা
নিশ্চয় আপনি বুঝতে পেরেছেন যে আপনার ডায়াবেটিস যদি বেড়ে যায় তাহলে আপনার শরীরে কেমন ফিল করবেন ও আপনার মন মেজাজ কেমন হবে। তো আশা করি ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে একজন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ও ডায়াবেটিস কমানোর ৫টি উপায় সম্পর্কে। তো এখন আপনার যদি ডায়াবেটিক্স থেকে থাকে তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন যখন আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে। যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ডায়াবেটিকস বেড়ে গেছে তখন আপনি ওষুধ খেয়ে নিবেন কিংবা আপনি যদি ইনসুলেন্স নিয়ে থাকেন তাহলে আপনি ইন্সুরেন্স নিয়ে নিবেন। তাহলে আপনি অনেক আরাম পাবেন আবার ক্ষতির হাত থেকেও বেঁচে যাবেন।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - উপসংহার

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা? আজকে আমরা এই আর্টিকেলে জেনেছি যে একজন ডাইবেটিস রোগের খাদ্য তালিকা ও ডায়াবেটিস কমানোর ৫টি উপায় সম্পর্কে। তো এখানে আমি মন থেকে একটা কথা বলি যে ভাই আপনাদের যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে আপনারা ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করেন ও নিয়ম মেনে চলেন তাহলে আপনাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ ডায়াবেটিস অনেক খারাপ একটি রোগ এই রোগে অনেক মানুষ আছে মারাও যায় তাই ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন ও নিয়ম মেনে চলাচল করুন। 
আপনার দৈনন্দিন জীবনে আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার চলাচলের জন্য খাবারের জন্য একটি রুটিন তৈরি করে নিবেন সেটি আপনার মনের মতন করে। যেন আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনে কাজের পাশাপাশি এই সকল নিয়ম গুলো মেনে চলতে পারেন। তাহলে আপনারই উপকার ও আপনারই শরীরের উপকার। এখানে একটা কথা বলি, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রধান উৎসই হলো নিয়মিত হাটাহাটি করা ও সময় নিয়ন্ত্রণ করা। তাহলে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা ও ডাইবেটিস কমানোর ৫টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সবকিছুই জেনেছেন। এখন আপনি যদি এইসব নিয়ম গুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনার জন্যই এগুলো ভালো ও আপনার শরীরের জন্যই ভালো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url